সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারে সব গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে, সম্ভাব্য মেয়াদ ৪ বছর: আহমেদ আল-শারা
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারা। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বারের মতো টেলিভিশনে বিবৃতি দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এই বিবৃতিতে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।
আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি ছদ্মনামেও পরিচিত আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, শক্তিশালী সরকার গঠনই তার মূল লক্ষ্য।
তিনি জানান, সিরিয়ায় একটি জাতীয় আলোচনা সম্মেলনের (ন্যাশনাল ডায়লগ কনফারেন্সের) আয়োজন করা হবে। তারপর সকল পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করা হবে।
শারা জানানা, সিরিয়া একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। নানা ধরনের মানুষের বসবাস সেখানে। সব ধরনের মানুষের প্রতিনিধিত্ব যাতে সরকারে থাকে, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত জরুরি।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার একনায়ক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এ সময় দৃশ্যপটে আসেন গোলানি। নিজের ছদ্মনাম ত্যাগ করে শারা নামেই নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে একজন শক্তিশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
শারা বলেন, 'সিরিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চললেই কেবল নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব।
ন্যাশনাল ডায়লগ প্রোগ্রামের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সেখানে সব ধরনের মানুষের কথা শোনা হবে। গুরুত্ব দেওয়া হবে বিরোধী রাজনৈতিক মতামতকেও।
একটি ছোট দল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। আপাতত তারাই পার্লামেন্টে বসবেন এবং শাসনের দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে পরবর্তী সময়ে দেশের সংবিধান বদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন শারা। জানিয়েছেন, তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। যারা নতুন সংবিধান নিয়ে আলোচনা করবেন।
নতুন সংবিধান তৈরি এবং পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অন্তত চার বছর লাগতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আহমেদ। ততদিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই সিরিয়া পরিচালন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Comments