সৌদি আরবের জাতীয় সঙ্গীতের নতুন রূপ দেবেন অস্কারজয়ী হ্যান্স জিমার
অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক হ্যান্স জিমার সৌদি আরবের জাতীয় সঙ্গীতের নতুন একটি সংস্করণ তৈরির দায়িত্ব পেয়েছেন।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
হলিউডের হিট সিনেমা গ্ল্যাডিয়েটর, দ্য পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান ও ডিজনির অ্যানিমেশন মুভি দ্য লায়ন কিংসহ আরও অসংখ্য কালজয়ী ও রেকর্ড সৃষ্টিকারী সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জার্মান বংশোদ্ভূত হ্যান্স জিমার সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, জিমারকে সৌদি জাতীয় সঙ্গীতের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করার কাজ দেওয়া হয়েছে।
— TURKI ALALSHIKH (@Turki_alalshikh) January 24, 2025
রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তি বদলানোর চেষ্টা করছে।
পাশাপাশি, জীবাশ্মভিত্তিক তেলের ওপর নির্ভরশীল দেশটি নানাভাবে তাদের অর্থনীতির সম্প্রসারণ ঘটাতেও সচেষ্ট রয়েছে।
১৯৯৫ সালে লায়ন কিং ও ২০২২ সালে ডিউন সিনেমার যন্ত্রসঙ্গীত রচনা করে অস্কার জেতেন জিমার।
তার অন্যান্য সাফল্যের মধ্যে আছে রেইন ম্যান, গ্ল্যাডিয়েটর ও ক্রিস্টোফার নোলানের ডার্ক নাইট ট্রিলোজির তিন সিনেমা।
সৌদি আরবের সরকারি বিনোদন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ সামাজিকমাধ্যম এক্সে জিমার ও তার একটি ছবি প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা অনেকগুলো ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আশা করব এগুলো খুব দ্রুতই দিনের আলো দেখবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে ভিন্ন ভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে সৌদি জাতীয় সঙ্গীতকে নতুন করে সাজানোর একটি প্রকল্প।'
তিনি আরও জানান, তারা 'অ্যারাবিয়া নামে একটি নতুন সঙ্গীত রচনার' বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এর অনুপ্রেরণায় থাকবে 'আমার প্রিয় দেশ', যোগ করেন তিনি।
খুব শিগগির 'রিয়াদ সিজনের' জন্য একটি বেশ বড় কনসার্ট আয়োজন নিয়েও জিমারের সংগে আলোচনার কথা জানান আলালশিখ।
নির্মাণাধীন সিনেমা 'দ্য ব্যাটল অব ইয়ারমৌক (খালিদ বিন আল-ওয়ালিদ)' এর জন্য যন্ত্রসঙ্গীত রচনার প্রস্তাব দিয়েছেন জিমারকে, এ তথ্যও জানান আলালশিখ।
তিনি জানান, এসব প্রকল্পে অংশ নিতে 'প্রাথমিক সম্মতি' দিয়েছেন জিমার। তারা আশা করছেন, খুব দ্রুতই জিমারের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হবে।
সৌদি আরবের জাতীয় সঙ্গীতের নাম 'আশ আল-মালিক (রাজা দীর্ঘজীবী হোন)।
ন্যাশনাল অ্যান্থেমস ডট ইনফো ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য মতে, এটি ১৯৪৭ সালে আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান বিন ফয়সাল বিন তুর্কি বিন আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আল সউদের অনুরোধে এক মিশরীয় সুরকার রচনা করেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ কেন তাদের জাতীয় সঙ্গীত নতুন করে সাজাতে চাইছেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
Comments