দাবি পূরণের আশ্বাসে চিকিৎসকদের 'আংশিক' কর্মবিরতি প্রত্যাহার
পশ্চিমবঙ্গে ধর্মঘট পালনরত জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা দিয়েছে, তারা আংশিকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে। আগামীকাল শনিবার থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত হাসপাতালগুলোতে জরুরি ও অত্যাবশ্যক সেবা দেওয়ার জন্য তারা কাজে ফিরবেন।
৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে গত ৪১ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার সল্টলেক এলাকায় অবস্থিত রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিও প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন তারা।
তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন তারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে (ওপিডি) কোনো সেবা দেবেন না। দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লি সংবাদদাতা এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিক্ষোভরত এক ডাক্তার গতকাল বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে বলেন, 'রাজ্য সরকার আমাদের কিছু দাবি মেনে নিতে রাজি হয়েছে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের চলমান বন্যা পরিস্থিতির বিবেচনায় আমরা শনিবার থেকে আংশিকভাবে জরুরি ও অত্যাবশ্যক সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ফিরব। তবে আমরা চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচি শুধু আংশিকভাবে প্রত্যাহার করছি।'
ডাক্তার আরও জানান, 'অতীতে আমাদের পাশে যারা দাঁড়িয়েছেন, এখন বন্যার এই সংকটময় মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আমরা হাসপাতালে ফিরে যাব এবং একইসঙ্গে বন্যা দুর্গত এলাকায় ভ্রাম্যমান ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করব।'
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের ছয় জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, এখন পর্যন্ত রাজ্যে বন্যার পানিতে ডুবে তিন জন মারা গেছেন ও আক্রান্ত হয়েছে আড়াই লাখ মানুষ।
ডাক্তাররা বলেন, 'আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দেব তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য। এ সময়ের মধ্যে তা পূরণ না হলে আবারও আমরা "কর্মবিরতিতে" ফিরে যাব।'
ডাক্তাররা আরও জানান, তাদের ন্যায়বিচার আদায়ের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। ডাক্তাররা উল্লেখ করেন, তাদের আন্দোলনের কারণে কলকাতার পুলিশ কমিশনার, মেডিকেল শিক্ষা পরিচালক (ডিএমই) ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (ডিএইচএস) পদত্যাগে বাধ্য হলেও এর অর্থ এই না যে 'বিক্ষোভ শেষ হয়েছে।'
Comments