বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না: জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনসহ যা কিছু হচ্ছে তা বাংলাদেশের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' এবং এ নিয়ে ভারতের মন্তব্য করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'প্রতিবেশী প্রথম' নীতি এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, 'সবসময় সবকিছু নিজের অনুকূলে থাকে না। কোথাও না কোথাও থেকে কিছু কথা আসতে থাকে, কেউ না কেউ কিছু একটা বলে ফেলে বা করে ফেলে। এটা হয়, স্বাভাবিক।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে যা হয়েছে—তাদের নিজস্ব রাজনীতি রয়েছে—সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি বিশ্বাস করি, তারা তাদের অবস্থান বুঝে নিক, সম্পর্কের মহত্ব বুঝুক—তাহলে প্রতিবেশিদের মধ্যকার সম্পর্কের মান ও মাত্রা অন্যরকম হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রতিবেশি উভয়েই উভয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়। আমাদের অন্য প্রতিবেশি দেশগুলোতেও আগে যেসব রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও অভ্যন্তরীণভাবে যা হওয়ার হবে। সেটা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।'

'কিন্তু দুদেশের সম্পর্ক আমাদের দিক থেকে স্থিতিশীল রাখতে চাই, সামনে এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের পারস্পরিক ভালো সহযোগিতা রয়েছে, আমাদের ভালো বাণিজ্য রয়েছে, জনগণের সঙ্গে জনগণের ভালো সহযোগিতা রয়েছে—আমি তো সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চাই,' যোগ করেন তিনি।

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ভারতের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, আমাদের কূটনীতি ও অন্যান্য আলোচনা সেটাকে কেন্দ্র করেই হয়। সেইসঙ্গে এটা আমাদেরও দায়িত্ব যে পৃথিবীতে শান্তি বজায় থাকুক। এটা আমাদের জন্যও প্রয়োজন।'

Comments

The Daily Star  | English

Fund crunch hits Rohingyas hard

A humanitarian crisis in Cox’s Bazar Rohingya camps is brewing in the face of funding shortage for the refugees and more arrivals from the conflict-ridden Rakhine state of Myanmar.

10h ago