টাইফুন ইয়াগি: মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস ও থাইল্যান্ডে ৩৫০ জনের মৃত্যু

মিয়ানমারের বাগো প্রদেশের টাউনগু এলাকায় উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে বন্যা কবলিত জনগোষ্ঠী। ছবি: এএফপি
মিয়ানমারের বাগো প্রদেশের টাউনগু এলাকায় উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে বন্যা কবলিত জনগোষ্ঠী। ছবি: এএফপি

গত সপ্তাহান্তে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চার দেশে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এই টাইফুনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে এ পর্যন্ত ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভিয়েতনামে ও মিয়ানমারে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৫৪ ও ৭৪ জন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের পাশাপাশি লাওস ও থাইল্যান্ডেও আঘাত হেনেছে এই টাইফুন।

শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারে বন্যায় ৭৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে ও আরও ৮৯ জন নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার। 

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। বন্যায় ৬৫ হাজার বাড়ি ও পাঁচটি বাঁধ ধ্বংস হয়েছে। যার ফলে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটির  জনগণের দুর্দশা আরও বেড়েছে।

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের অনেক দোকানে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। ছবি: রয়টার্স
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের অনেক দোকানে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। ছবি: রয়টার্স

শুক্রবার ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা জানিয়েছিল, দুই লাখ ৩৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ও ৩৩ জন মারা গেছেন।

দেশটির মধ্যাঞ্চলে অনেক কৃষিজমি পানিতে ডুবে গেছে। অপেক্ষাকৃত নিচু ভূমিতে অবস্থিত রাজধানী নেপিডোর আশেপাশেও একই ঘটনা দেখা গেছে।

পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। তবে সড়ক, সেতু ধ্বংস হওয়াতে এবং বেশিরভাগ জায়গায় ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।

বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় দিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৮২টি আশ্রয় শিবির চালু করেছে।

থাইল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ রোববার দিনভর মেকং নদীর তীরবর্তী প্রদেশগুলোতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশি সহায়তা চেয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান। গতকাল শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

কোনো সংকটে এভাবে বিদেশি সহায়তা চাওয়ার ঘটনা দেশটিতে সচরাচর দেখা যায় না। এর আগে বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে জান্তার। 

থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা মাই সাই অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ। ছবি: রয়টার্স
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা মাই সাই অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ। ছবি: রয়টার্স

প্রতি বছরই এ সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মৌসুমি বৃষ্টিপাত দেখা দেয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগের তুলনায় আরও বিধ্বংসী বন্যার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

এ ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলের আরও কাছাকাছি জায়গায় টাইফুন সৃষ্টি হচ্ছে এবং এগুলো আগের তুলনায় আরও দ্রুত তীব্র হচ্ছে এবং স্থলভাগে বেশি সময়জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। জুলাই মাসে প্রকাশিত এক গবেষণায় এসব তথ্য জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

6h ago