ইউক্রেনকে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হবে: পুতিন

মন্ত্রীসভার বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রয়টার্স ফাইল ফটো

গত মঙ্গলবার রাশিয়াকে অবাক করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। এ মুহূর্তে রাশিয়ার ২৮টি শহর ও গ্রাম তাদের দখলে আছে বলে জানা গেছে। 

হামলার পর রাশিয়া এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, 'যুদ্ধ এখন রাশিয়ার ঘরে ঢুকে পড়েছে।'

পুতিন যা বলেছেন

কুরস্কে ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
কুরস্কে ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠকে বলেছেন, 'সীমান্তের গোলযোগ সৃষ্টির জন্য ইউক্রেন এই কাজ করেছে।' পুতিনের এই ভাষণ সরকারি টিভিতে প্রচার করা হয়।

পুতিন বলেছেন, 'ইউক্রেনকে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। তাদের রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। রাশিয়ার বাহিনী সাফল্য পাবেই।'

কুরস্কে এক সপ্তাহ ধরে লড়াই চলছে। রুশ বাহিনী এখনো পাল্টা হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পুতিনের দাবি, 'কিয়েভ সামরিক শক্তিমত্তা দেখিয়ে রাশিয়াকে হারাতে চাইছে। কিন্তু তার ফল উল্টো হবে। দনেৎস্কে  রুশ অভিযান চলতে থাকবে। ইউক্রেন ভেবেছে এসব পদক্ষেপে তারা শান্তি আলোচনায় সুবিধা পাবে। কিন্তু সেটা হবে না।'

ইউক্রেনের ভাষ্য

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এখন বিশ্ব নেতাদের কাছে গোলাবারুদ চেয়ে বেড়াচ্ছেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এখন বিশ্ব নেতাদের কাছে গোলাবারুদ চেয়ে বেড়াচ্ছেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেছেন, 'আমরা কুরস্কে অভিযান চালু রাখব। এখনো পর্যন্ত এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা আমাদের দখলে আছে।'

সেনাপ্রধানের ভিডিও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে আপলোড করা হয়েছে।

জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, 'এই প্রথমবার ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার কুরস্কের ভেতরে ঢুকে পড়েছে।'

জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, 'আমরা আমাদের সেনা ও কমান্ডোদের কাছে কৃতজ্ঞ।'

তিনি জানিয়েছেন, কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ওই এলাকার জন্য একটি মানবিক পরিকল্পনা তৈরি করতে।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরান রাশিয়াকে কয়েকশ ব্যালিসটিক মিসাইল দিচ্ছে জানতে পেরে তারা উদ্বিগ্ন।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, 'যদি ইরান এই ব্যালিসটিক মিসাইল রাশিয়াকে দিতে চায়, তাহলে আমরাও দ্রুত ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া দেখাব। আমরা মনে করছি, এই মিসাইল দেয়া মানে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ইরানের সমর্থন জানানো।'

গত শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়ার বেশ কয়েকজন সেনাকর্মী এখন ইরানে এই ব্যালিসটিক মিসাইল ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

এপি, এএফপি, রয়টার্স

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago