হুতিদের বিমান ঘাঁটিতে কেন আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
শনিবার সকালে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে জাহাজে আরও হামলার সতর্কতার পর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড।
তবে হামলাটি কোথায় হয়েছে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলার 'ফলো-আপ' হিসেবে 'একটি রাডার স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইয়েমেনের গণমাধ্যম বলছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি বিমান ঘাঁটির কাছে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়েও এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার থেকে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত এলাকাগুলোয় হামলা শুরু করেছে। হামলা চালানো হয়েছে রাজধানী সানায়। এ ছাড়া উপকূলীয় হোদেইদাহ শহরেও বিমান হামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামলার পর হুতি নেতারা এর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেন। প্রতিক্রিয়ায় গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে সর্তক করে বিবৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'হুতিদের এই আচরণের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব, যদি তারা এই আপত্তিকর আচরণ চালিয়ে যেতে থাকে।'
লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হুতিদের একের পর এক হামলার জবাবে ইয়েমেনে পাল্টা হামলা করা হচ্ছে বলে দাবি পশ্চিমাদের। ইসরায়েল হামাস যুদ্ধে হুতিরা প্রকাশ্যে হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে। এর অংশ হিসেবেই তারা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের আট মিত্র দেশ শুক্রবার জানিয়েছে, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের সম্মিলিত অভিযানের উদ্দেশ্য হলো 'লোহিত সাগরে স্থিতিশীলতা' ফিরিয়ে আনা।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে আসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে লোহিতসাগরের অস্থিরতা কমিয়ে সেখানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা'।
ইয়েমেনের ভূখণ্ডে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রাণঘাতী যৌথ হামলাকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে 'ভয়ংকর সশস্ত্র আগ্রাসন' বলে চিহ্নিত করেছে রাশিয়া। এ হামলার 'কঠোর ভাষায় নিন্দা' জানিয়েছে ইরান এবং লোহিত সাগরের অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে চীন।
Comments