হুতিদের প্রতি সংযম দেখাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সৌদির অনুরোধ

হুতি
ইয়েমেনের আল সালিফ উপকূলে সশস্ত্র হুতিদের হাতে জব্দ গ্যারাক্সি লিডার পণ্যবাহী জাহাজ। ছবি: রয়টার্স

লোহিত সাগরে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে সংযম দেখানোর অনুরোধ করেছে সৌদি আরব।

গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়াদ চায় না ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ুক।

এতে আরও বলা হয়, রিয়াদের বার্তা হলো—যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ওয়াশিংটনকে সংযম দেখাতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তাতে সৌদি আরব সন্তুষ্ট।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর তেল আবিব গাজায় আক্রমণ চালালে ইরান-সমর্থিত হুতিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।

এ ছাড়াও, হুতিরা লোহিত সাগরে বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করে।

ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ দেশটির বিস্তৃত এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী হুতিরা ঘোষণা দিয়েছে যে তাদের সব হামলা ফিলিস্তিনের সমর্থনে চালানো হচ্ছে। তারা গাজায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে ইয়েমেন থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরের দেশটিতে আরও হামলা চালাবে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর আগে হুতিরা বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারক দেশ প্রতিবেশী সৌদি আরবেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। সৌদি আরব ইয়েমেনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সমর্থনে হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। সম্প্রতি রিয়াদ হুতিদের সঙ্গে আলোচনায় বসায় হুতি-সৌদি যুদ্ধ বেশ কিছুদিন থেকে বন্ধ আছে।

চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হুতিরা জড়িয়ে পড়ায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য বড় মাপের যুদ্ধের ঝুঁকিতে আছে উল্লেখ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ তেল-গ্যাস লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজে সরবরাহ করা হয়। তাই তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো এ নিয়ে শঙ্কায় আছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলোয় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Yunus calls for peace

Yunus condemns attack at Amar Ekushey Boi Mela, orders swift action

In a statement, the chief adviser denounced the violence, emphasising that it goes against the open-minded spirit of the book fair, which honours the language martyrs of February 21, 1952, according to the CA's press wing

3h ago