১০০ মিলিয়ন ডলার দুর্নীতি মামলায় নিউইয়র্কে ট্রাম্পের বিচার শুরু

আর্থিক দুর্নীতির মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার শুরু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

আর্থিক দুর্নীতির মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্প আদালতে হাজির হলে বিচার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের আইনজীবী কেভিন ওয়ালেস বলেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় দুর্নীতির মাধ্যমে ট্রাম্প ১০০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ উপার্জন করেছেন।

ট্রাম্প ছাড়াও তার ২ ছেলে ও পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে এ বিচার শুরু হয়েছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা তুলে ডেমোক্রেট পার্টির নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস কমপক্ষে ২৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা, ট্রাম্প ও তার ২ ছেলের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে ব্যবসা চালানো থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং ট্রাম্প ও ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ৫ বছর রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী হিসেবে ম্যানহাটনের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ডোনাল্ড বেন্ডার। তিনি মাজারস ইউএসএ-এর একজন অংশীদার, ট্রাম্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ধরে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

বিচার শুরুর আগে আদালতের বাইরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলা প্রতারণামূলক ও মিথ্যা। অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এটি করছেন।

দুপুরের খাবারের বিরতিতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প আরও বলেন, 'জেমস একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি, একজন ভয়ঙ্কর ব্যক্তি। তিনি নিউইয়র্ক থেকে লোকজনকে তাড়িয়ে দিতে চান।'

'তাকে বরখাস্ত করা উচিত। তার কোর্টের বাইরে থাকা উচিত,' আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন তিনি।

বিচারক আর্থার এনগোরনের সামনেও একইরকম মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প, নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করেছেন এবং লেটিশিয়া জেমসকে 'পক্ষপাতদুষ্ট ও ডেমোক্র্যাট' বলে উল্লেখ করেছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

14h ago