কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক: চীনের বয়কট, আসছে না তুরস্ক ও সৌদি আরবও

কাশ্মীরে জি২০ বৈঠক
কাশ্মীরের শ্রীনগরে অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ ডাল লেকে দায়িত্বরত ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী সিআরপিএফের এক সদস্য। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

শিল্পোন্নত ও স্বল্পোন্নত ২০ দেশের সংগঠন গ্রুপ টোয়েন্টি বা জি২০-র সদস্য চীন, সৌদি আরব ও তুরস্কের বয়কটের মধ্যে দিয়ে সংগঠনটির পর্যটনবিষয়ক কার্যকরী কমিটির বৈঠক ভারত-শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বৈঠক উপলক্ষে কাশ্মীরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের আগস্টে মোদি-সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে এই প্রথম এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শ্রীনগরের শের-ই কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে প্রতিনিধিরা আসতে শুরু করেছেন।

জি২০-র প্রধান সমন্বয়ক হর্ষবর্ধন শ্রিংলা গণমাধ্যমকে জানান, জি২০-র সভাপতিত্বের সুবাদে ভারতজুড়ে অন্তত ১১৮টি বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।

পর্যটন নিয়ে জি২০ আগের ২ বৈঠকের তুলনায় এবারের কাশ্মীর বৈঠকে বেশি প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন। তাদের বেশিরভাগ আসছেন সিঙ্গাপুর হয়ে।

এছাড়াও, আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীরে বৈঠক আয়োজন করায় চীন তা বয়কট করেছে। এছাড়াও, সংগঠনটির অপর সদস্য সৌদি আরব বৈঠকের জন্য নিবন্ধন করেনি এবং তুরস্ক না বৈঠকে অংশ নিচ্ছে না।

গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, 'চীন বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক আয়োজনের বিরোধী। তাই বেইজিং এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না।'

এর জবাবে ভারত বলেছে, নিজে দেশের যেকোনো স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের অধিকার নয়াদিল্লির আছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বৈঠককে ঘিরে কাশ্মীরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা গার্ড ও মেরিন কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে।

ভূমি ও আকাশ নিরাপদ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অ্যান্টি-ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago