বাসভবন ঘিরে পুলিশ, আবারও গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, তার বাসভবন ঘেরাও করেছে পুলিশ। আবারও তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

আজ বুধবার রাতে এক টুইটে ইমরান খান বলেছেন, পুলিশ তার লাহোরের বাড়ি ঘেরাও করেছে।

'সম্ভবত আমার পরবর্তী গ্রেপ্তারের আগে এটাই আমার শেষ টুইট,' বলেন তিনি।

একটি লাইভ ভিডিওতে তিনি জানান, বিরোধীরা তার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই উসকে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে।

তিনি বলেন, 'আমি ভয় পাচ্ছি যে এটি একটি বড় প্রতিক্রিয়া বয়ে আনবে যা আমাদের দেশের বিশাল ক্ষতির কারণ হবে। কেউ যদি মনে করে যে এই কৌশল দিয়ে আমার দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে, তাহলে তারা ভুল করছে। এটি ঘটবে না।'

গত ৯ মে আদালতে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে গেলে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। পরে তাকে ৮ দিনের রিমান্ডেও পাঠায় আদালত।

এ ঘটনার পর ১২ মে প্রধান বিচারপতির আদেশে তাকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট ইমরানকে গ্রেপ্তার 'অবৈধ ও বেআইনি' বলে ঘোষণা করে। সেদিন এক আদেশে ইমরানকে গ্রেপ্তারে ১৭ মে পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আদালত।

আজ বুধবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৯ মে'র পর দায়েরকৃত কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন।

আজ বুধবার পাকিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর জানান, সহিংস বিক্ষোভে যারা সাহায্য করেছে ও সমর্থক জুগিয়েছে তাদের আশ্রয় দিয়েছেন ইমরান খান।

তিনি বলেন, 'গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চিহ্নিত করেছে যে, সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ইমরান খানের বাড়িতে লুকিয়ে আছে।'

২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের ফিরিয়ে দেওয়া না হলে পুলিশী অভিযান চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

8h ago