থাইল্যান্ডে নির্বাচন

সেনাকে ‘না’ গণতন্ত্রকে ‘হ্যাঁ’

সামরিক বাহিনী সমর্থিত দলগুলোর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থি বিরোধীরা জয় পেলেও তাদের জোট কীভাবে সরকার গঠন করবে তা এখনো নিশ্চিত হয়।
থাইল্যান্ডে বিরোধীদের জয়
সমর্থকদের সঙ্গে এমএফপি নেতা পিতা লিমজারোয়েনরাত। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচনে দেশটির সেনা-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো জয় লাভ করেছে।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক বাহিনী সমর্থিত দলগুলোর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থি বিরোধীরা জয় পেলেও তাদের জোট কীভাবে সরকার গঠন করবে তা এখনো নিশ্চিত হয়।

গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রগতিশীল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) একক দল হিসেবে বেশি ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পিউ থাই দল।

তবে তাদের সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাবে না। কেননা, ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের পর সেনারা তাদের দলগুলোর পক্ষে পার্লামেন্টারি আইন করে রেখেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার গঠনে অন্যান্য দল ও সামরিক সরকারের নিয়োগ দেওয়া সিনেট সদস্যদের সঙ্গে চুক্তির প্রয়োজন।

২ কক্ষের পার্লামেন্টে মোট আসন ৭৫০টি। এই ২ কক্ষের সদস্যরা মিলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ও সরকার গঠন করবেন।

এমএফপি উদারপন্থি অবস্থান নেওয়ায় তরুণদের ভোট বেশি পেয়েছে। এই দলটি বেশকিছু সাহসী পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এ দলটির নেতা ৪২ বছর বয়সী পিতা লিমজারোয়েনরাত টুইটারে বলেন, 'যদি আমরা আজ কাজ শুরু করি তাহলে পরিবর্তন সম্ভব। আমাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা সামান্য ও সুনির্দিষ্ট।'

তিনি আরও বলেন, 'আপনারা আমার সঙ্গে একমত হন বা না হন আমি আপনাদের প্রধানমন্ত্রী হব। আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, না দেননি তা ভাববো না। সবার জন্য কাজ করব।'

থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে এমএফপি ভোট পেয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ও পিউ থাই দল পেয়েছে ১ কোটির সামান্য বেশি।

Comments