৫ আরব দেশের বৈঠক

সিরিয়া থেকে সব বিদেশি যোদ্ধাকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া
আম্মানে বৈঠকে ৫ আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ১ মে ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার ভাগ্য নিয়ে প্রায় ১২ বছর পর আবারও এক সুরে কথা বলেছে প্রতিবেশী আরব দেশগুলো। প্রতিবেশী দেশগুলো সেখান থেকে সব বিদেশি যোদ্ধাকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের রাজধানী আম্মানে সৌদি আরব, মিশর, ইরাক, জর্ডান ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে সিরিয়া থেকে সব সশস্ত্র বিদেশিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি, সিরিয়ার সব এলাকায় দামেস্কের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।

২০১১ সালে আরব দেশগুলোর সংগঠন আরব লিগ থেকে সিরিয়াকে বহিস্কারের পর এই প্রথম আরব দেশগুলো যুদ্ধবিধস্ত দেশটিকে নিয়ে এমন বৈঠকের আয়োজন করেছে।

বৈঠকের আগে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ শরণার্থী, সীমান্ত নিরাপত্তা ও 'পানি ইস্যু' নিয়ে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে কথা বলেছেন।

৫ আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে সিরিয়াকে সব 'সন্ত্রাসী সংগঠন' ও 'সশস্ত্র গোষ্ঠীর' উপস্থিতি থেকে মুক্ত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা যেন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরপত্তায় হুমকি হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়াকে সমর্থন জানানো এবং এর সরকারি সংস্থাগুলো যেন পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপরও জোর দিয়েছেন।

'সংকট দূর করতে' সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান ও ইরাকের সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বানও জানানো হয়েছে এ বৈঠকে।

প্রতিবেদন অনুসারে, 'সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বন্ধের'ও আহ্বান জানিয়েছেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সিরিয়ায় সংঘাত বন্ধে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, আরব সংগঠনে সিরিয়াকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আঞ্চলিক নেতারা জর্ডানে বৈঠক করেছেন। তারা সিরিয়ার সংঘাতের 'রাজনৈতিক সমাধান' চেয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১ দশক আগে সিরিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর প্রথমবারের মতো সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান গত মাসে প্রথম দামেস্ক সফর করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Penalty less than illegal gains fuels stock manipulation

While fines are intended to deter future offences, questions remain over their effectiveness if the amount is lower than the illegal gain.

12h ago