ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি পেতে হবে: ব্লিঙ্কেন

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, সের্গেই লাভরভ, রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র,
ভারতের নয়াদিল্লিতে কোয়াডের বৈঠকে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ৩ মার্চ, ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, রাশিয়াকে নির্বিচারে যুদ্ধ করতে দেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে বলে ব্লিঙ্কেন মন্তব্য করেছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বৈঠকের পর কোয়াড গ্রুপের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি 'অগ্রহণযোগ্য'।

গত মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিত করেন এবং পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরুর হুমকি দেন।

ভারতে এক ফোরামে ব্লিঙ্কেন বলেন, 'রাশিয়া ইউক্রেনে যা করছে তাতে যদি আমরা দায়মুক্তি দিই তাহলে তারা ভাববে, তারা সর্বত্র আগ্রাসী হতে পারবে এবং সেখান থেকে বের হতেও পারবেন।'

নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ব্লিঙ্কেন কোয়াড গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এক বছর আগে ইউক্রেনে সংঘাত শুরুর পর গতকাল প্রথমবারের মতো রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন।

এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতে ব্লিঙ্কেন মস্কোকে যুদ্ধ বন্ধ ও নিউ স্টার্ট পারমাণবিক চুক্তি থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লাভরভ ও ব্লিঙ্কেন ১০ মিনিটেরও কম সময় কথা বলেছেন এবং কোনো আলোচনায় অংশ নেননি।

জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সদস্য দেশগুলোকে সংঘাত অবসানে রাশিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতার কারণে জি-২০ যুদ্ধের বিষয়ে যৌথ বিবৃতিতে সম্মত হতে পারেনি।

শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বিশ্বকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের যারা বিরত রয়েছেন, তাদের বুঝতে হবে আমরা এমন কিছুর মুখোমুখি হচ্ছি যা বিশ্ব ঐকমত্যের সম্ভাবনাকে ভেঙে দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

5h ago