মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে লিফটের নিচে ২ দিন পড়ে ছিল রোগীর মরদেহ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের লিফটে উঠতে গিয়ে ৯ তলা থেকে পড়ে এক রোগী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার দুই দিন পর আজ শনিবার তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাকস্থলীর ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

নিহত রোগীর নাম মো. কালাম বেপারী। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল গ্রামে তার বাড়ি। তার মৃত্যুর ঘটনায় ছেলে রিয়াদ বেপারী বনানী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রিয়াদ বেপারী তার অভিযোগে বলেছেন, প্রায় ৬ মাস আগে তার বাবার পাকস্থলীতে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। গত ২৯ আগস্ট হাসপাতালের ডাক্তার তাকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। ১৮ সেপ্টেম্বর তার পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচার করার দিন ঠিক হয়। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাবাকে হাসপাতালে রেখে তিনি বরিশাল যান। আজ শনিবার সকালে ফিরে এসে হাসপাতালের বিছানায় বাবাকে পাইনি। আশপাশের শয্যার রোগীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাইরে গিয়েছিলেন। এর পর আর ফিরে আসেননি।

হাসপাতালে বাবাকে না পেয়ে রিয়াদ বেপারি পুলিশের সহায়তা চান। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে। ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৩২ মিনিটে তিনি নিচে নামার জন্য ৯ তলায় লিফটের বোতামে চাপ দেন। লিফট আসার পর তিনি দরজা খুলে উঠতে গেলে নিচে পড়ে যান।

এই ফুটেজ দেখার পর রিয়াদ বেপারী নিচে গিয়ে লিফটের গর্তে তার বাবার মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ ব্যাপারে রিয়াদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমার বাবা গ্রামে রিকশা চালাতেন। অনেক কষ্টে তার চিকিৎসায় দুই লাখ টাকা খরচ করেছি।

তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আমি এর বিচার চাই।

হাসপাতালের পরিচালক স্বপন কুমার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হয়ত লিফটে কিছু টেকনিক্যাল ত্রুটি আছে। এটা লিফটের টেকনিশিয়ানরা বলতে পারবেন।

রোগী পালিয়ে গেছেন, নিহতের ছেলেকে এমন কথা বলার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, রোগীর ছেলেকে বলিনি তিনি পালিয়েছেন। আমরা খোঁজ নিতে বলেছিলাম।
 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

16m ago