চিনির দাম বাড়িয়ে ১২০ টাকা নির্ধারণ, আগেই বিক্রি হচ্ছিল ১৪০ টাকায়

চিনি। ছবি: স্টার

বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাঁচাবাজার থেকে নিত্যপণ্য কোথাও যেন স্বস্তি নেই। ৬০ টাকার নিচে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজি।

গত বেশ কিছুদিন ধরেই খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১৩০ টাকায় পাওয়া গেলেও রাজধানীর অন্যান্য বাজার ও মুদির দোকানে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ, সরকার নির্ধারিত পরিশোধিত খোলা চিনির দাম ছিল ১০৯ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল ১০৯ টাকা।

আজ বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পরিশোধিত খোলা চিনির দাম বাড়িয়ে প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির দাম প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থাৎ, দাম বাড়ানোর পরে সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, তারচেয়ে অন্তত ২০ টাকা বেশি দামে বাজারে ইতোমধ্যেই চিনি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স আমিন জেনারেল স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাজারে চিনির সরবরাহে সমস্যা নেই। কিন্তু দাম নিয়ে অস্থিরতা থাকায় অনেকেই চিনি বিক্রি করছেন না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে, তাছাড়া এলসি কম থাকায় চিনির দাম বেশি। আজ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৬ টাকা আর খুচরা বাজারে ১৩০ টাকা।'

ফার্মগেট, রাজাবাজার, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁওসহ রাজধানীর কয়েকটি এলাকার মুদির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ১৪০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছেন দোকানদাররা।

এ ছাড়া, ১ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও দাম। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি কারওয়ান বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। আজ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের একটি মুরগির দোকান। ছবি: স্টার

সরেজমিনে আজ কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা ও আদা ২৫০-২৬০ টাকা দরে।

আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের একটি সবজির দোকান। ছবি: স্টার

কারওয়ান বাজারে আকার ভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা কেজি। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

শ্রীপুর ব্রয়লার হাউসের মুরগি বিক্রেতা মো. ফাইয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকায়। আজ বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। আজ বাজারে মুরগির সরবরাহ কম তাই দাম একটু বেশি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul calls for unity among parties to restore democracy

Says empowering people through elections is the shared responsibility of all political forces

48m ago