দেশে কোভিড-১৯ টিকাদানের সাফল্য হার ৯৮ শতাংশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ কোভিড-১৯ টিকাদানের ক্ষেত্রে ৯৮ শতাংশ সাফল্য অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এই অর্জন বিশ্বের অনেক ধনী দেশের চেয়েও বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোভিড-১৯ টিকা তৈরি করি না, তবে আমরা অন্যান্য দেশ থেকে সেগুলো সংগ্রহ করেছি এবং একটি সফল টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করেছি যা বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
চট্টগ্রামে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'এমনকি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো করেছি কারণ কোভিড-১৯ টিকাদানে যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্যের হার মোট জনসংখ্যার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ।'
'সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে সেখানকার কর্মকর্তারা করোনা টিকাদানের সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন', বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায় এবং এভাবে প্রতিবছর দেশ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার চলে যায় কিন্তু বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারলে সেই টাকা দেশেই রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, 'আমি আশা করি, এভারকেয়ার হাসপাতাল সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের চিকিৎসা দেওয়ার মাধ্যমে এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।'
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি আছে।
'আগামী বছর একটি বিশ্ব-মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের আছে, বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'শস্যের বাম্পার ফলনের জন্য আমাদের নিজস্ব উৎপাদনে জোর দিচ্ছি।'
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য কাজ করছে কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সঙ্গে ডলারের দর বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
'তবে, আমরা এখনও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছি,' তিনি বলেন।
Comments