ঈদে কেমন থাকবে আবহাওয়া

আজ শুক্রবার খুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টি থাকবে কালও
ফাইল ছবি| ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা।

তবে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের তাপমাত্রা অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখনো বেশি। খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার খুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে তিন দিন দেশের উত্তরপূর্ব ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। রাজধানী ঢাকাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী এবং মাঝারী ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ জায়াগায় বৃষ্টির পাশাপাশি কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।'

তিনি বলেন, 'ঈদের দিন ঢাকার আকাশ মূলত মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর ১২টার পরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।'

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকায় বৃষ্টি হবে, তবে টানা বৃষ্টি হবে না বলে আমরা মনে করছি। আগামী ১৯ জুনের পরে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেক আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।'

এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, 'আমরা ধারণা করছি, মৌসুমি বায়ু আরও বেশি সক্রিয় হবে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে এই দুই বিভাগে আর তাপদাহ থাকবে না।'

পূর্বাভাস অনুসারে, আজও রাজধানী ঢাকার কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কবির বলেন, 'সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ এবং আগামীকাল ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।'

পূর্বাভাস আরও বলছে, এসব এলাকায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল বাড়ছে। এই এলাকায় উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল দ্রুত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

Comments