ঢাকায় বৃষ্টি থাকবে কালও, অতি ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগে ভূমিধসের শঙ্কা
সকাল থেকেই কালো মেঘের আনাগোনা রাজধানী ঢাকার আকাশে। দুপুর থেকে অনেকটা টানা বৃষ্টি ঝরে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৬১ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ৫৮, নেত্রকোণায় ৫৭, রাজশাহীতে ৫৫, ময়মনসিংহ ও বগুড়ায় ৩২, গোপালগঞ্জ ও নিকলীতে ২৯ এবং নোয়াখালীর হাতিয়ায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী রেকর্ড আমরা প্রস্তুত করব। সারা দেশেই আজ বৃষ্টি হচ্ছে, তবে ঢাকায় দুপুর ১২টার পরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সর্বশেষ তথ্য এখনো প্রস্তুত হয়নি।
সিনপটিক অবস্থা অনুসারে, লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত এবং বাংলাদেশের ওপর সক্রিয়।
এই দুই প্রভাবে ঝরছে বৃষ্টি।
যোগাযোগ করা হলে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামীকালও ঢাকায় প্রায় একই রকম বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো আজকের চেয়ে সামান্য কম হতে পারে। তবে পরশু থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে।'
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আগামীকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
ওমর ফারুক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে আগামীকাল বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে।'
বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এলে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ফারুক।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাস আরও বলছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোতে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দেশের অন্য এলাকায় দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Comments