চট্টগ্রাম-বরিশালে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাস বলছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে বয়ে যেতে পারে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া, হতে পারে বজ্রপাত।
চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ২৩ মিলিমিটার থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঢাকায় বিশেষত দক্ষিণ অংশে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি আরও বাড়বে।
আবহাওয়া সহকারী সেলিম উদ্দিন জানান, এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় সন্দ্বীপে সর্বোচ্চ ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া, হাতিয়ায় ৬৩ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৩, সীতাকুণ্ডে ৬, খেপুপাড়ায় ৫, মাইজদীকোর্টে ৩, ভোলায় ২ এবং ফেনী, বরিশাল, কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বাভাস আরও বলছে, বৃষ্টির কারণে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পাবে।
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
এছাড়া সিলেট জেলা এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর, রাজশাহী ও খুলনার বিভাগের অবশিষ্ট অংশে তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।
অনেকটা ঘূর্ণীঝড়ের মতো বাতাস ঘুরতে থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মেঘ জড়ো হয়েছে। ঘূর্ণায়মান বাতাসের প্রভাবে যে কোনো সময় নৌ-দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা দেখা গেছে। এটি স্থলভাগের যত কাছে আসবে, বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাসের পরিমাণ তত বাড়তে থাকবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই কারণে এসব এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, আজ ও আগামীকালের মধ্যে এই মেঘমালা ডাইভার্ট হয়ে যাবে এবং তারপর মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করবে। ফলে কাঙ্ক্ষিত বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে।
Comments