বাদল দিনের সকালেও ঢাকার বাতাস বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত

ঢাকার বাতাসের মান
ছবি: স্টার ফাইল ফটো

বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়ের ষষ্ঠ দিনে আকাশে যখন ঘন মেঘের ঘনঘটা। প্রায় প্রতিদিনেই রাজধানী ঢাকার কোথাও না কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। এমন বাদল দিনেও ঢাকাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিলো বায়ুমানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)।

আজ মঙ্গলবার একিউআইয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ১৫৬ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দুষিত বাতাসের তকমা নিয়ে ঢাকা আবারও বিশ্ব তালিকার শীর্ষে এসেছে।

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, এমতাবস্থায় ঢাকার বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বায়ুমান সূচকের স্কোর ১৫০ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে সেটি 'অস্বাস্থ্যকর', ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে সেটি 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে বিবেচিত হয়।

বায়ুমানের এই সূচকের স্কোর যদি ৩০১+ অতিক্রম করলে তা 'বিপজ্জনক' বলে বিবেচিত হয়, যেটি বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি বায়ুমানের সূচক (একিউআই) যথাক্রমে ১৫২ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে।

একিউআই হলো দৈনিক বাতাসের গুণমান প্রতিবেদনের সূচক। একটি শহরের বাতাস কতটা পরিচ্ছন্ন বা দূষিত এবং কী ধরনের স্বাস্থ্য প্রভাব তাদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে তা জানানো হয়।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বাংলাদেশে ৫টি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে। এগুলো হচ্ছে—পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। তবে এ বছর বর্ষার শুরুতে এমন ঢাকার বাতাসের মানের তেমন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।

বায়ুদূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অসুস্থতার প্রধান ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর বায়ুদূষণে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও তীব্র শ্বাস জটিলতার কারণে মৃত্যুহার বেড়ে যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago