বান্দরবান থেকে ধনেশ পাখিগুলো পাচার হচ্ছিল ভারতে
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পাখিগুলো বান্দরবান থেকে ধরে ভারতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক মো. সোলাইমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গুনাগরি বাজার থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশ পরিদর্শক মো. সোলাইমান বলেন, 'পাচারকারীরা জানিয়েছেন যে বান্দরবান থেকে তারা ৮ লাখ টাকায় ৪টি ধনেশ পাখি কিনে ভারতে পাচারের জন্য সাতক্ষীরা নিচ্ছিলেন।'
তিনি বলেন, 'আমরা খবর পাই বান্দরবান থেকে বাঁশখালী হয়ে চট্টগ্রাম শহরে কিছু বন্যপ্রাণী পাচার হবে। এরপর আমরা তল্লাশি করি। গুনাগুরি বাজারে বসানো চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা একটি অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার করে।'
পরে আটক অটোরিকশা চালকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আনোয়ারা উপজেলা থেকে একজনকে আটক করা হয়।
পরিদর্শক সোলাইমান বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক সেলিম ও মিজান বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িতের কথা স্বীকার করেছেন। পাখিগুলো ভারতে পাচারের জন্য সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।'
পরে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত আদালত শুক্রবার দুপুরে দুজনকে কারাদণ্ড দেন। আসামিদের চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার পরিবর্তে কেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হলো, জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার (ওসি) তৌহিদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী বাঘ ও হাতি হত্যা করলে আমরা সরাসরি মামলা করতে পারি। অন্যক্ষেত্রে আমরা প্রসিকিউশন করি আদালতে। তাই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে।'
উদ্ধার ধনেশ পাখি ৪টি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নেওয়া হয়েছে।
Comments