দেশে লোডশেডিং ১৮৬০ মেগাওয়াট ছাড়াল

প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘাটতি এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রোববার লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছাড়িয়েছে এক হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট।

গত ২২ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশজুড়ে লোডশেডিং অব্যাহত। এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে।

উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হয়।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, রোববার দুপুর ১২টায় লোডশেডিং এক হাজার ৮৬৪ মেগাওয়াটে পৌঁছায়।

তবে বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রামীণ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, লোডশেডিংয়ের মাত্রা এনএলডিসির দেখানো সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থানীয়ভাবে হওয়া বিঘ্নগুলো সবসময় তালিকাভুক্ত হয় না।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয় যে কোনো সমস্যা হলে গ্রাহকদের দিনে ও রাতে উভয় ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, 'স্থানীয় বিভ্রাট বিবেচনায় নিলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াটের চেয়েও বেশি হতে পারে।'

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এনএলডিসির রেকর্ডে আরও দেখা যায়, রোববার রাত ১টায় এক হাজার ৭৮৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করলেও এক পর্যায়ে সকাল ৭টায় তা কমে ১৩ হাজার ১৯ মেগাওয়াটে নেমে আসে। কিন্তু আবার তা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বেড়ে যায়।

স্বাভাবিক চাহিদা বাড়লে সন্ধ্যায় 'পিক আওয়ারে' লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে দিনের চাহিদার পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং সান্ধ্যকালীন চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার তথ্যে দেখা যায়, প্রায় চার হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক তিন হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট।

এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দুই হাজার ৩১৬ দশমিক নয় এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে এক হাজার ৪২৩ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago