নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ‘শিগগির’

‘কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন যৌথ কোম্পানির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভা। ছবি: সংগৃহীত

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি 'শিগগির' সই হবে বলে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ২১তম সভা আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওজোপাডিকোর খুলনা বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অলক কুমার।

সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানিসহ বিআইএফপিসিএলের মাধ্যমে ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের সম্ভাবনা এবং বিআইএফপিসিএল কর্তৃক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের বিষয়েও পর্যালোচনা করা হয়।

বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসংযোগ লিংকসহ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জল বিদ্যুৎ থেকে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই, ভুটানে জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের ত্রিপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশে সেই বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি 'শিগরির' সই হবে। তবে, কবে, কখন এই চুক্তি সই হবে, সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সভায় বাগেরহাটের রামপালে বাস্তবায়নাধীন ১৩২০ (২*৬৬০) মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের পরিচালন ও দ্বিতীয় ইউনিটের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের সিনক্রোনাইজ করা হবে বলেও সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। একইসঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার আন্তঃসংযোগ কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। ক্রস বর্ডার ট্রেড ও প্রকল্পগুলোর যৌথ উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে জ্বালানি দক্ষতা প্রকল্প বিষয়েও আলোচনা হয়।

সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনটি ভারতের করার কথা ছিল। তবে, আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যৌথ কোম্পানির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka brick kiln

Dhaka's toxic air: An invisible killer on the loose

Dhaka's air did not become unbreathable overnight, nor is there any instant solution to it.

12h ago