১ ঘণ্টা ৫২ মিনিটের প্রেম ও বিচ্ছেদ গাঁথা
ফাল্গুনের প্রথম রাতে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিনেমা 'উনিশ ২০'। ভালোবাসার সিনেমা বলেই এমন দিন বেছে নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুটা আলোচনাও শোনা যাচ্ছে সিনেমাটি নিয়ে। আলোচনার বিপরীতে কিঞ্চিৎ সমালোচনাও আছে। সবকিছু ছাপিয়ে এই সিনেমার প্রধান আলোচনার বিষয় আরিফিন শুভ ও আফসান আরা বিন্দুর অভিনয়।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই জুটি আবার একসঙ্গে। ওয়েব সিনেমার গল্প অসম্পূর্ণ থেকে যেত এই দুজনার অভিনয় ছাড়া। তাদের জন্যই যেন লেখা হয়েছে গল্প।
অপু ও শিলা চরিত্র এই দুজনকে ছাড়া কল্পনা করা অর্থহীন মনে হবে। পর্দায় এই দুজনের রসায়ন চোখের প্রশান্তি এনে দিয়েছে।
নায়ক আরিফিন শুভকে সিনেমায় অপু চরিত্রে রোমান্টিক অভিনয়শিল্পী হিসেবে বেশ মানিয়ে গেছে।
প্রাণবন্ত প্রেমিক বিচ্ছেদে বিরহী অভিনয় দর্শকদের মনে দীর্ঘদিন লেগে থাকবে। বিশেষ করে জন্মদিনের রাতে দেরি করে বাসায় ফেরার পরের দৃশ্য, বিচ্ছেদের পর শিলাকে (বিন্দু) বাসায় থাকা প্যাকেট ফেরত দেওয়ার সময়টুকু, ডিভোর্স পেপারে সাইন করার মুহূর্ত, শেষের দিকের কিছুক্ষণ অসাধারণ।
যারা দীর্ঘদিন বলে আসছেন আরিফিন শুভ অভিনয়ে তেমন পটু নয়, তাদের জন্য একটা জবাব এই চরিত্রটি। চরিত্রের প্রয়োজনে কবিতা পড়া রপ্ত করেছেন তিনি, যা বেশ মুগ্ধকর ছিল।
দীর্ঘ কয়েক বছরের বিরতির পর 'উনিশ ২০' ওয়েব সিনেমায় অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দুর ফিরে আসা মন্দ ছিল না। শিলা চরিত্রে তার প্রাণবন্ত অভিনয় দেখে মনে হয়নি যে অনেকদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। এমন একজন অভিনেত্রীর অভিনয় থেকে দীর্ঘ আড়াল সত্যিই দুঃখজনক।
অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের অল্প সময়ের উপস্থিতি খারাপ লাগেনি। হাসান মাসুদ, শিবলু ছোট ছোট চরিত্রে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন।
প্রতিভাবান অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্র না করলেও কিছু হতো না।
'উনিশ ২০' নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান লোকেশন আর পোশাকের বিষয়ে মনোযোগী ছিলেন, যা খেয়াল করার মতো। গল্প বলাতে দক্ষ হলেও চিত্রনাট্য সংলাপে কিছুটা মনোযোগী হলে আরও ভালো লাগত।
এ ওয়েব সিনেমায় কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার বই, কবিতার ব্যবহার অতুলনীয়। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে দেখা যাচ্ছে ১ ঘণ্টা ৫১ মিনিটের এই প্রেম-বিচ্ছেদের গল্প।
Comments