উত্তরায় শুটিং বন্ধে চিঠি, অভিনয় শিল্পী সংঘ ও ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রতিবাদ

শুটিং কার্যক্রম বন্ধ করতে হাউস মালিকদের চিঠি দিয়েছে উত্তরা কল্যাণ সমিতি সেক্টর-৪।

এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু এবং ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাবেক সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু।

গত ২০ জুলাই সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, শুটিংয়ের কারণে রাস্তায় জনসমাগম, যান চলাচলে বিঘ্ন এবং বাসিন্দারা স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শুটিং হাউস পরিচালনা করা আবাসিক নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

সেক্টরের পরিবেশ ও সুনাম রক্ষায় হাউসের মালিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

এ ব্যাপারে আজাদ আবুল কালাম বলেন, 'ভীষণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আইনগতভাবে যা করা দরকার, তা করব। দেখুন, বছরের পর বছর ধরে উওরায় শুটিং চলছে। কখনোই পরিবেশ নষ্ট করছে না। শুটিং বাড়িগুলো নিরিবিলি জায়গায়। এর সঙ্গে অনেক মানুষের রিজিক জড়িত।'

'যার বাড়ি, তিনি ভাড়া পাচ্ছেন। তার বাড়িতে পাঁচ-ছয়জন মানুষ কাজ করে, তাদের সংসার চলে। আমি মনে করি, একটি চক্র এই কাজ করছে। এর পেছনে কোনো চক্র আছে; অনুভূতিতে লাগে তেমন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা চলছে,' যোগ করেন তিনি।

আজাদ আবুল কালাম আরও বলেন, 'রাস্তার ওপর বাজার আছে, সেসব নিয়ে তারা কথা বলছেন না। যতগুলো রেস্টুরেন্ট থাকা দরকার, তার চেয়েও বেশি আছে—সেসব নিয়ে তারা কথা বলছেন না। তারা হঠাৎ করে শুটিং হাউস বন্ধ করা নিয়ে কথা বলছেন। কিছু মানুষের দুরভিসন্ধি বলবো এটাকে। কিছু মানুষ ভাবছে, এটা বন্ধ করতে পারলে তাদের বিজয় হবে। আমরা শিল্পীরা এর প্রতিবাদ জানাই।'

শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, 'এই সিদ্বান্ত অগ্রহণযোগ্য। এভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। অনেক বছর ধরে উওরায় শুটিং হয়ে আসছে, বৈধভাবেই হচ্ছে! এখানে তো আমরা বিশৃঙ্খল কিছু করছি না। নাটকের বা সিনেমার শুটিং, কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই বন্ধের নোটিশ কেন? দেখুন, চার নম্বর সেক্টরে ক্লাব আছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা শুধু শুটিং হাউসে!'

এর আগেও চার নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি শুটিং বন্ধে চিঠি দিয়েছিল জানিয়ে সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, 'তখন আমি ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি ছিলাম। আমরা কয়েকটি সংগঠন সমিতির সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমাধান করেছিলাম। এখন আবার চিঠি দিয়েছে, এটা তো ঠিক না!'

রাশেদ মামুন অপু বলেন, 'শুটিং হাউসে আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই শুটিং করি। এর জন্য কারও ক্ষতির প্রশ্নই আসে না। শুধু শিল্পী কেন, কোনো সাধারণ মানুষ এটা মানতে পারবেন না।'

উত্তরা সেক্টর চার এলাকায় তিনটি শুটিং হাউস রয়েছে; লাবণী-৪, লাবণী-৫ ও আপনঘর-২।

Comments

The Daily Star  | English
court orders exhumation of 114 july killing victims

July killings: Court orders exhumation of 114 bodies for identification

A Dhaka court today ordered the authorities concerned to exhume 114 bodies of individuals killed during the July uprising in order to identify them

1h ago