শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না: বনি কাপুর

প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর স্বামী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ও বনি কাপুর তার এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন শ্রীদেবীর মৃত্যুর বিষয়ে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীদেবী মারা যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বনি কাপুর শ্রীদেবীর মৃত্যুও এবং স্ক্রিনে তার উপস্থিতি ধরে রাখতে কী পরিমাণ চাপে ছিলেন সে সব বিষয়ে কথা বলেছেন।

দুবাইয়ের একটি হোটেলের বাথটাবে শ্রীদেবীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। দুর্ঘটনাক্রমে তিনি বাথটাবে ডুবে যান বলে জানানো হয়। তবে এই ব্যাখ্যা শ্রীদেবীর ভক্তদের বিভ্রান্ত করে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। তারপরও নানা গুঞ্জনের মুখে নীরব ছিল শ্রীদেবীর পরিবার।

নিউ ইন্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনি কাপুর জানান, শ্রীদেবী কঠোরভাবে ডায়েট করতেন। বনি আরও জানান, তিনি প্রায়শই ক্ষুধার্ত থাকতেন, তিনি সব সময় চেষ্টা করতেন তাকে যেন দেখতে সুন্দর মনে হয়। 

বনি আরও বলেন, 'আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর বেশ কয়েকবার তিনি মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান। চিকিৎসকও জানিয়েছিলেন তার লো-প্রেসারের সমস্যা আছে।'

বনি আরও বলেছেন, 'এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না; নিছক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। আমি এ বিষয়ে কোনো কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তার কারণ তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা এ বিষয়ে কথা বলেছি।'

'তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছিল, এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যেমের বেশ চাপ ছিল। তারা দেখেছেন সেখানে অস্বাভাকি কিছু ঘটেনি। আমি সব ধরনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছি, সেগুলোর মধ্যে লাই ডিটেক্টর টেস্টও ছিল। পরে অবশ্য রিপোর্টে এসেছে তার মৃত্যু ছিল দুর্ঘটনাজনিত।'

এ ছাড়া বনি কাপুর আরও জানান, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর অভিনেতা নাগার্জুন তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন শোক জানাতে। তিনি বলেন, এটা ছিল একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। নাগার্জুন আমাকে বলেন, তার একটি সিনেমার শুটিংয়ের সময়ও শ্রীদেবী ক্র্যাশ ডায়েটে ছিলেন।

২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে মারা যান শ্রীদেবী।

Comments

The Daily Star  | English

Political, economic reforms led to drop in overseas migration last year

More than 700 female workers migrated as skilled professionals last year

2h ago