‘চঞ্চল বছরের পর বছর সাধনা করে শিল্পী হয়েছে’
দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় নাট্যগুরু মামুনুর রশীদের দল আরণ্যক দিয়ে। মঞ্চ থেকে টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ওটিটি- সব মাধ্যমেই অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
আজ চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন। জন্মদিনে তাকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন মামুনুর রশীদ।
মামুনুর রশীদ বলেন, 'চঞ্চল চৌধুরীর নাম যখন সুনামের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তখন গর্বে আমার বুক ভরে যায়। ওর অভিনয়ের যখন প্রশংসা করা হয় ভালোবাসায় সিক্ত হই। মনে হয় যেন আমারই প্রশংসা হচ্ছে, কী যে ভালো লাগে তখন! কি যে তৃপ্তি পাই! চঞ্চল চৌধুরী আমার শিল্প সন্তান।'
'শুধু বাংলাদেশ নয়, কলকাতায় কিংবা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় চঞ্চলের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। কলকাতায় যখন ওকে নিয়ে আলোচনা হয়, মানুষ ওর অভিনয়ের প্রশংসা করে- তখন আমার মনটা ভরে যায়। একজন নাটকের মানুষ হিসেবে এটাই আমার পরম প্রাপ্তি। আমার নাটকের দল দিয়ে চঞ্চলের অভিনয় জীবন শুরু।'
'চঞ্চল চৌধুরী একজন আকাঙ্ক্ষিত নায়ক, কাঙ্ক্ষিত হিরো। এটা কিন্তু কপালের জোরে হয়নি। এর জন্য সাধনা করতে হয়েছে। বছরের পর বছর সাধনা করে একজন শিল্পী হয়েছে। চর্চা করেছে, শিল্পচর্চায় ওর ভূমিকা আছে। নিরলসভাবে বছরের পর বছর অভিনয় নিয়ে সাধনা করেছে। যার ফল এখন পাচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'জন্মদিনে আমি একটি কথা জোর দিয়ে বলব- ওর এই সাধনা ও শিল্পচর্চা যেন সারাজীবন থাকে। আজীবন যেন সাধনা করে যায়। আরেকটি বিষয় লক্ষ করেছি, অভিনয় শেখার প্রতি তার যে আগ্রহ, সেটা শুরু থেকেই ছিল। অভিনয়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল বলেই আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছে। দীর্ঘায়ু হোক, সুদীর্ঘকাল ধরে যেন শিল্পসাধনা করে যেতে পারে।'
'আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে চঞ্চল অনেকগুলো মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছে। তার অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। যখনই মঞ্চে ওঠে, দর্শকদের কাছ থেকে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া পাই। চের সাইকেল নাটকে ওর অভিনয় আমাকে ভাবায় ,আমাকে প্রচণ্ড মুগ্ধ করে। এছাড়া রাঢাঙ নাটকেও অসাধারণ অভিনয় করেছে। চের সাইকেল ও রাঢাঙ নাটক দুটোতে অভিনয় করে আমার মন ছুঁয়ে গেছে।'
তিনি বলেন, 'সাফল্য এসেছে অভিনেতা হিসেবে। এই সাফল্য অব্যাহত থাকুক। শুভ হোক মানবজনম। শুভ জন্মদিন চঞ্চল।'
Comments