মনের অজান্তে বহুবার হুমায়ুন আহমেদের রূপা হয়েছি: মৌসুমী নাগ
মৌসুমী নাগ ২ বছরের বিরতি ভেঙে অভিনয়ে ফিরেছেন। একটি এক ঘণ্টার নাটক এবং একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সম্প্রতি। নিয়মিত অভিনয় করতে চান আবারও। শোবিজে যাত্রা শুরু ২০০৫ সালে। এছাড়া রান আউট দিয়ে সিনেমায় অভিষেক তার।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন মৌসুমী নাগ।
২ বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন, কেমন লাগছে?
মৌসুমী নাগ: ভালো লাগছে। খুব ভালো লাগছে। চেনা জগতে, চেনা মানুষদের সঙ্গে কাজ করা হলো। অর্ক মোস্তফার একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি। নাটকটির নাম সুইট হোম। এ ছাড়া গৌতম কৌরীর পরিচালনায় একটি এক ঘণ্টার নাটকে অভিনয় করেছি। এই নাটকটির নাম 'পিকলু অ্যান্ড স্পাই'। এখন থেকে নিয়মিত অভিনয় করতে চাই। তবে, অবশ্যই চরিত্র ও গল্পকে প্রাধান্য দেব সবার আগে।
দুটি নাটকে দর্শকরা আপনাকে কীভাবে দেখবেন?
মৌসুমী নাগ: সুইট হোম নাটকে আমার চরিত্রটি বেশ ভালো। পছন্দ হয়েছে অনেক। গান শুনতে ভালোবাসি। বিশেষ করে রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি আমার ভালোবাসা প্রচণ্ড। পিকলু অ্যান্ড স্পাই নাটকে আমি চারুকলার ছাত্র। পড়াশেনার পাশাপাশি একটি ব্যবসা দাঁড়া করানোর চেষ্টা করি।
আমার কাছে মনে হয়েছে নাটক দুটিতে অভিনয় না করলে অনেক কিছু মিস করতাম।
সহশিল্পীরা কাজে ফেরার বিষয়ে কতটা উৎসাহ জুগিয়েছেন?
মৌসুমী নাগ: প্রচণ্ড রকম উৎসাহ জুগিয়েছেন সহশিল্পীরা। বিশেষ করে সিনিয়র আপুরা অনেকবার বলেছেন শুটিং শুরু করার জন্য। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি পর্দায় না থাকার পর দর্শকরাও আমাকে দেখতে চেয়েছেন। তারিন আপু, রিচি আপুর কথা বলতেই হয়। তারা আমাকে অনেক উৎসাহ জুগিয়েছেন।
শোবিজে আপনার পথচলা শুরু কবে?
মৌসুমী নাগ: ২০০৫ সালে শোবিজে আমার পথচলা শুরু। সেই থেকে এখনো অভিনয় করছি। তবে, মাঝে বেশ কয়েকবার বিরতি নিতে হয়েছে। এবার আমি সন্তানের জন্যই বিরতি নিয়েছিলাম। অভিনয় করে আমার বার বার মনে হয়েছে- অভিনয় আমাকে কিছু দিয়েছে। এটা তো অনেক। আমার জীবনে অভিনয় করার কারণে আমি অনেক ভালো আছি। পরিচালক, কলিগ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
আপনার নিজের কাছে বিনোদন কি?
মৌসুমী নাগ: বই পড়া, সিনেমা দেখা, গান শোনা আমার কাছে বিনোদন। প্রচুর সিনেমা দেখি। প্রচুর বই পড়ি। এটা অনেক আগে থেকেই। এখনো অভ্যাসটা রয়ে গেছে। আর আড্ডা দেওয়াটাও আমার কাছে বিনোদন।
হুমায়ুন আহমেদের বই কতটা টানে?
মৌসুমী নাগ: আমার সাহিত্যের জগতে প্রবেশ কঠিন কঠিন বই দিয়ে। সেটা অবশ্য রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প দিয়ে শুরু। হৈমন্তী আমার খুব প্রিয় গল্প। এরপর রবীন্দ্রনাথের অনেক বই পড়েছি। সমরেশ মজুমদার আমার প্রিয়। অনেক আগে তার বই পড়েছি। নিমাই ভট্টাচার্য প্রিয় লেখক। আরও অনেক প্রিয় লেখক আছেন।
আরও পরে এসে হুমায়ুন আহমেদের বই পড়া শুরু করি। একটা সময়ে হুমায়ুন আহমেদ ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠেন। তার হিমু, মিসির আলী অসম্ভব প্রিয়। হিমু আমার কাছে স্বপ্নের চরিত্র। রূপা আমার প্রিয় চরিত্র। মনের অজান্তে বহুবার হুমায়ুন আহমেদের রূপা হয়েছি।
Comments