আলী যাকেরকে আমরা সবসময় মনে করি: সারা যাকের

আলী যাকেরকে আমরা সবসময় মনে করি: সারা যাকের
আলী যাকের ও সারা যাকের। ছবি: স্টার

সারা যাকের এদেশের নামি একজন অভিনয়শিল্পী। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিশেষ করে মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটকে তার অবদান অনেক। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের অন্যতম একজন তিনি। অভিনয় কলায় স্বীকৃতির জন্য পেয়েছেন একুশে পদক।

২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হতে যাচ্ছে আলী যাকের নতুনের উৎসব। এই উৎসব কমিটির আহ্বায়ক তিনি।

আলী যাকের নতুনের উৎসব নিয়ে সারা যাকের দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

দ্য ডেইলি স্টার: ২১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে– আলী যাকের নতুনের উৎসব-২০২৩। এই উৎসবের আহ্বায়ক আপনি। বিরতির পর শুরু হতে যাওয়া নাট্যোৎসব নিয়ে বলুন?

সারা যাকের: শিল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নতুন নতুন নাটক দরকার। চলমান রাখা দরকার। চলমান না থাকলে হবে না। তাহলে শিল্পটা থেমে যাবে। সেই তাগিদ থেকেই আমরা এই উৎসব করতে যাচ্ছি। এটি আরও আগে শুরু হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের জন্য বিরতি দিয়ে শুরু হলো। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে আমরা আলী যাকেরকে স্মরণ করব। দর্শকদের কাছে নাটক নিয়ে যাব। ২০১৯ সালে ৭টি নাটক দিয়ে এই উৎসব শুরু হয়েছিল। মাঝে ভয়াবহ কোভিডের কারণে আর করা সম্ভব হয়নি। এবার বড় আয়োজনে শুরু হচ্ছে।

ডেইলি স্টার: নিঃসন্দেহে এ দেশের মঞ্চ নাটকে আলী যাকেরের অবদান ব্যাপক?

সারা যাকের: নিশ্চয়ই। আলী যাকেরকে আমরা সবসময় মনে করি। যারা তার অভিনয়, নির্দেশনা দেখেছেন তারাও মনে করেন। ধ্যানে জ্ঞানে তিনি আছেন। নাট্যচর্চাকে বেগবান করতে তার অবদান ভুলবার নয়। অনেক দিয়ে গেছেন তিনি। নাট্যজগতকে একটি অবস্থানে নিয়ে গেছেন।

ডেইলি স্টার: দর্শনীর বিনিময়ে নাটক দেখা এদেশে তো আলী যাকের এবং তার দলের কয়েকজন মিলেই শুরু করেছিলেন?

সারা যাকের: ৫০ বছর আগে দর্শনীর বিনিময়ে নাটক দেখা শুরু হয়েছিল এদেশে। শুরুটা করেছিলেন আলী যাকের। তার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন। তার দল ছিল। তার চিন্তা ভাবনা ছিল সুদূরপ্রসারী। নাটক নিয়ে অনেক ভাবতেন। সময় দিতেন। অভিনয়, নির্দেশনায় মগ্ন থাকতেন। তা না হলে এত বছর আগে যখন কেউ ভাবতেই পারতেন না, সেই সময়ে তিনি দর্শনীর বিনিময়ে নাটক দেখার চিন্তা করেছেন। মঞ্চ নাটককে স্টাবলিশ করে দিয়ে গেছেন। সেই যে শুরু করেছিলেন বাকি ইতিহাস নাটক দিয়ে আর থামেননি। তারপর থেকেই শুরু হয় দর্শনীর বিনিময়ে নাটক।

ডেইলি স্টার: আলী যাকেরকে নিয়ে আর কী কী পরিকল্পনা আছে?

সারা যাকের: আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। কাজ শুরু হয়ে গেছে। আরও পরিকল্পনা আছে। তার স্মৃতিতে করা হয়েছে সংগ্রহালয় বাতিঘর। সেখানে তার বই, চিত্রকর্মসহ অনেক কিছু স্থান পেয়েছে। বিভিন্ন সম্মাননা স্মারক, স্বীকৃতিপত্র, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতিস্মারক, তার ব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র। নতুনরা তার বিষয়ে জানতে পারবেন। 

ডেইলি স্টার: এবারের উৎসব নিয়ে প্রত্যাশা কী?

সারা যাকের: আলী যাকের নতুনের উৎসব নাম নিয়ে শুরু হচ্ছে এই উৎসব। প্রত্যাশা বেশি। মঞ্চ নাটককে যারা ভালোবাসেন তারা আসবেন। আলী যাকেরকে যারা ভালোবাসেন তারা আসবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks snag on women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

1h ago