শিল্পের অপূর্ণতা খুব যন্ত্রণা দেয়: তৌকীর আহমেদ

তৌকীর আহমেদ। স্টার ফাইল ছবি

চলচ্চিত্র পরিচালক ও নন্দিত অভিনয়শিল্পী তৌকীর আহমেদ। দুই সপ্তাহ হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তৌকীর আহমেদ।

শিল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সখ্যতা, বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?

শিল্পের পথে চলা কিংবা শিল্পের সঙ্গে বসবাস এটা অনেক আনন্দের। অর্থের পেছনে কখনো দৌড়াইনি, শিল্পের পথেই চলেছি। শিল্পের সঙ্গে বসবাস করলে জীবনে চলার পথটাও সুন্দর হয়। আবার অন্যদিকও আছে। শিল্পের পথে অপূর্ণতাও আছে। শিল্পের অপূর্ণতা খুব যন্ত্রণা দেয়। শিল্পের অতৃপ্তিও কষ্ট দেয়। যখনই একটি কাজ করি তারপর ভাবি পরের কাজটি ভালো করতে হবে।

২ সপ্তাহ হলো দেশে ফিরেছেন, অভিনয় শুরু করেছেন?

দেশে ফিরে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছি। আমি, জাহিদ হাসান, তানভীন সুইটি, তানজিকা। গৌতম কৌরী পরিচালনা করেছেন। বেশ বিরতি দিয়ে অভিনয়ে ফেরা হলো। শাহরিয়ার শাকিল কাজটি করতে বলেছেন। সব মিলিয়ে করলাম । এখানে  নতুনত্ব আছে। এখানে দর্শকরা আমাকে দেখবেন একটু জটিল চরিত্রে। একটু নেগেটিভ চরিত্রে। বিরতির পর অভিনয় করার জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হলো, অভিনয় অনেক কঠিন কাজ।

আপনার অভিনীত বিউটি সার্কাস সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, দেখার সুযোগ হয়েছে?

দেখেছি। দেশে ফিরেই হলে গিয়ে দেখেছি। বিউটি সার্কাস সিনেমা দারুণ গল্পের সিনেমা। দেরিতে হলেও সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। সেজন্য পরিচালক মাহমুদ দিদারকে ধন্যবাদ। এই সিনেমায় আমার চরিত্রটি নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে পেরেছিলাম। গ্রামের একজন চেয়ারম্যান আমি। সাধারণত এমন চরিত্রে কখনো অভিনয় করা হয়নি। আরও আগে মুক্তি পেলে ভালো হত। তারপরও সিনেমাটি হারিয়ে যায়নি। এটা ভেবেই ভালো লাগছে। সত্যি কথা বলতে একটি সিনেমা শেষ করা যুদ্ধের মতো ব্যাপার। সিনেমার সঙ্গে জড়িতরা এটা ভালো জানেন।

চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আপনি তো সফল?

এটা আমি বলব না। দর্শকরা বলবেন। সমালোচকরা বলবেন, সাংবাদিকরা বলবেন। আমার ভালো লাগার বিষয় এটুকু, এখনো মানুষ জয়যাত্রা সিনেমা দেখেন। বিজয়ের মাসে বেশ ভালোভাবেই দেখেন। এখনো ঈদের সময়ে  দারুচিনি দ্বীপ টেলিভিশনে হোক, ইউটিউবের মাধ্যমে হোক দর্শক দেখতে পান। অজ্ঞাতনামার প্রশংসা এখনো শুনতে পাই। হালদার প্রশংসা শুনতে পাই। রূপকথার গল্প বলি সবগুলো সিনেমা কম-বেশি দর্শকরা দেখেছেন। এসব আমাকে এক ধরণের ভালোলাগা দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটে কীভাবে?

লেখালেখি করে। কখনো স্ক্রিপ্ট লিখি, কখনো মঞ্চ নাটক লিখি। সন্তানদের সময় দিই। এভাবেই ওখানে সময় কাটে।

নতুন সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনা?

কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। এবছর তো প্রায় শেষ হতে চলেছে। আশা করছি আগামী বছর নতুন সিনেমা শুরু করতে পারব। সেভাবেই এগোচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago