কানাডায় ছেলের সঙ্গে হলে সিনেমা দেখেছি: ববিতা

কানাডার একটি বাজারে কেনাকাটা করছেন ববিতা। ছবি: ববিতার পাঠানো

বাংলা সিনেমার সোনালি দিনের নায়িকা ববিতা। বর্তমানে তিনি কানাডাতে আছেন। সেখানে তার ছেলে অনীক থাকেন। গতকাল দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন ববিতা।

তিনি বলেন, 'ছেলে অনীকের সঙ্গে কানাডায় সময় কাটাচ্ছি। মা-ছেলের মধুর সময় কাটছে। ছোট্ট পরিসরে বলে বোঝাতে পারব না কতটা চমৎকার দিন পার করছি। আমার জীবনে এই  দিনগুলো সত্যিই অন্যরকম। জীবন আসলেই সুন্দর।'

'বেশ কয়েক মাস হলো কানাডায় এসেছি। মাঝে কয়েক দিন আমেরিকায় ছিলাম। ওখানে ভাইয়ের পরিবার থাকেন। তাদের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়ে

এসেছি। জীবন মানেই তো নানা অভিজ্ঞতা, নানা কিছু দেখা। জীবনের এই সময়ে এসেও কতকিছু দেখছি,' বলেন তিনি।

'টরেন্টোর  কাছাকাছি একটি শহর কিচেনা। এই শহরেই আমার ছেলের বাসা। শহরের খুব কাছে একটি নদী আছে। সেই নদীতে সময় পেলেই মাছ ধরতে যাই। এবারও অনেকবার মাছ ধরেছি। মাছ ধরার নেশাটা অনেক বছরের। আমার বাবার ভীষণ শখ ছিল মাছ ধরা। মাছ ধরার শখটা বাবার কাছ থেকে পেয়েছি। বিশেষ করে কানাডায় এলেই মাছ ধরতে যাই।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানে সিনেমা হল আছে। ছেলেকে নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছি। কতদিন পর সিনেমা দেখা হলো মা-ছেলে মিলে। এই শহরে সুন্দর সুন্দর পার্ক আছে। মাঝে মাঝে সেখানে যাই সময় কাটাতে। কখনো কখনো নার্সারিতে যাই। গাছ কিনে নিয়ে আসি। বাগান করাটাও আমার প্রিয় শখ। ঢাকার বাসার ছাদেও বাগান করেছি। ছেলের কাছে এসেও অভ্যাসটা যায়নি। ইচ্ছে আছে এখান থেকে দেশে ফেরার সময় পছন্দের কয়েকটি ছোট ছোট গাছ দেশে নিয়ে যাব। ছুটির দিনগুলোতে অনীক এসব জায়গায় নিয়ে যায় আমাকে।'

'ফুল আমার অনেক পছন্দের। কখনো কখনো ফুল কিনে নিয়ে আসি। ফুলের সৌরভে কী যে ভালো লাগে! ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। কানাডাতেও আত্মীয়রা আছেন। খুব আপন তারা। কখনো কখনো তাদের সঙ্গেও সময় কাটাই। অফুরন্ত অবসর কাটছে আনন্দের মধ্যে। উপভোগ করছি জীবনকে। অবশ্য দেশের কথাও মনে পড়ে। দেশের জন্য মন কেমন করে। ছেলের পছন্দের খাবার রান্না করি। বাংলা খাবার ওর পছন্দ। মা ও ছেলে মিলে বাজার করে আনি। গরুর মাংস, খাসির মাংস, চিকেন কিনে আনার পর রান্না করি। মাছও কিনে আনি। মুরগির কোরমা অনীকের খুব প্রিয়। ওর প্রিয় খাবার রান্না করে দিই এবং দু'জনে মিলে খাই। এখানে এসে রান্নার বই কিনেছি। কোনো রান্না না পারলে বই দেখে সেটা করি।'

ববিতা বলেন, 'কানাডায় পাতা ঝরা শুরু হয়েছে। কিছুদিন পর বরফ পড়া শুরু হবে। প্রচণ্ড শীত শুরু হবে। তার আগেই দেশে ফেরার ইচ্ছে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

‘May the sound of arms be silenced’

Pope Francis calls for peace across the world in Christmas message

1h ago