‘অভিনেতা ছাড়া আর কিছুই হতে চাইনি’

ফজলুর রহমান বাবু
ফজলুর রহমান বাবু। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন ৫ বার। এই সময়ে এসেও টেলিভিশন নাটক, ওটিটি ও চলচ্চিত্রে সরব তিনি। গুণী এই অভিনয়শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু।

প্রতিনিয়ত তিনি নতুন নতুন চরিত্রের মধ্যে দিয়ে নিজেকে নতুনভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করছেন।

সোমবার ছিল তার জন্মদিন। জীবনের সাফল্য, ফেলে আসা অতীতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাতে ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের।

মানুষের ভালোবাসা, খ্যাতি, অর্থ, সবই পেয়েছেন। মানুষের ভালোবাসা পেতে কেমন লাগে?

একজীবনে অভিনেতা হতে চেয়েছিলাম। মানুষ তো কত কিছু হতে চায়। আমি অভিনেতা ছাড়া আর কিছুই হতে চাইনি। স্কুলজীবন থেকে আমার মাথার ভেতরে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছিল। সেই পথেই হেঁটেছি।

অভিনেতা হওয়ার পর সত্যিকার অর্থে এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, যা অন্যকিছু দিয়ে মিটবে না। মানুষ আমাকে এতটা ভালোবাসে, এত পছন্দ করে তা এখন বুঝি। আর কী চাইবার আছে আমার? এই ভালোবাসা নিয়েই জীবন পার করতে চাই।

অভিনেতা হওয়ার জন্য কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে?

অভিনেতা হওয়ার জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ব্যাংকার হিসেবে ঢাকায় আসি অনেক আগে। ঢাকায় এসে আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দিই। সারাদিন অফিস করে সন্ধ্যায় নাটকের দলে যাওয়া ছিল নিত্যদিনের কাজ। 

আমার সৌভাগ্য মামুনুর রশীদের মতো গুরু পেয়েছিলাম। তার কাছে অভিনয় বিষয়ে অনেক শিখেছি। অভিনয়, সংসার, চাকরি, মঞ্চ সবমিলিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে সেই সময়।

পেছনে ফিরে তাকালে কী মনে হয়?

পেছনে ফিরে তাকাতে হয়। অতীত ভুলে যাওয়া ঠিক না। অতীত মনে রেখে সামনে পথ চলাই ভালো। আমার বাড়ি ফরিদপুরে। নিয়মিত নিজের এলাকায় যাই। পদ্মা সেতু হওয়ায় বাড়ি যাওয়া আরও সহজ হয়েছে। এখনো আমার ছেলেবেলার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাদের ভুলিনি আমি। ভুলতেও পারব না। পেছনে ফিরে তাকালে মনে হয় জীবন সুন্দর।

সত্যিই জীবন সুন্দর। জীবনকে সুন্দর করে নিতে হয়। সুখ, দু:খ, আনন্দ-বেদনা এসব থাকবেই। তার ভেতর দিয়েই জীবনকে যাপন করা শিখতে হয়। অতি সুখ যেমন ভালো নয়, অতি দুঃখও ভালো নয়। 

একটি ভালো বই, একটি ভালো সিনেমা, একটি ভালো নাটক জীবনকে সমৃদ্ধ করে। শিল্পের সঙ্গে বহু বছরের সখ্যতা আমার। শিল্পের পথে হাঁটছি বলে জীবন আরও সুন্দর হয়েছে।

সংকটে পড়েছেন কখনো?

পড়েছি। আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। ১৯৭৫ সালে বাবা মারা যান। আমরা ভাই-বোনরা তখন লেখাপড়া করতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর সংকট দেখা দেয় সংসারে। মা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। জীবনকে নতুন করে চিনেছি সে সময়।

২২ আগস্ট আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে কেটেছে?

সারাদিন শুটিংয়ে ছিলাম। রাতেও শুটিং করেছি। গাজীপুরে জামদানি নামে একটি সিনেমার শুটিং করছি। এখানেই আছি। সারাদিন অনেকের ফোন এসেছে। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। জন্মদিনটা কেটে গেল শুটিং করে।

অভিনয় আমার পেশা, নেশা ও সাধনা। সেজন্য শুটিং করে ভালো লেগেছে। তবে পরিবারের সদস্যদের খুব মিস করেছি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago