খুশির অনেক গুণ: চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী ও শাহনাজ খুশি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নাটকের জনপ্রিয় মুখ শাহনাজ খুশি। গতকাল ১৫ নভেম্বর ছিল এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। শাহনাজ খুশিকে নিয়ে কথা বলেছেন আরেক দর্শকপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

চঞ্চল বলেন, 'মামুনুর রশীদের পরিচালনা এবং বৃন্দাবন দাশের লেখা নিউ সবুজ অপেরা

ধারাবাহিক নাটক থেকে শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাশের সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর  ঘরকুটুম নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করি। সেই যে পরিচয় শুরু, তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গেছে। অসংখ্য নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করেছি। সম্পর্কের গভীরতাও বেড়েছে।'

'শিল্পী পরিচয়ের বাইরে আমাদের সম্পর্ক পারিবারিক পর্যায়ে। আমাদের ২ পরিবারের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক। এটা মিডিয়ার সবাই জানেন। ২ পরিবারের ঘরোয়া কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে সবাই উপস্থিত থাকি। সুখে-দুঃখে আমরা শিল্পের পথে চলছি। আমাদের বড় পরিচয় আমরা শিল্পী, বন্ধু এবং মানুষ,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'খুশির অনেক গুণ। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তার ২ সন্তানকে ভালোবাসা দিয়ে, সততা দিয়ে মানুষ করেছেন। ২ সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে এবং অভিনয়ও করছে। সংসারের প্রতি, কাছের মানুষদের প্রতি তার ভালোবাসা ও

দায়বদ্ধতা আছে। এই গুণটা ভালো লাগে। অভিনেত্রী হিসেবে অনেক মেধাবী। খুশি একজন দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পী। যে কোনো চরিত্রে মিশে যেতে পারেন অনায়াসে। সব শিল্পী এটা পারেন না। খুশি পারেন। এত সুন্দর, এত সাবলীল, এত ন্যাচারাল অভিনয় করেন, যা সব শ্রেণির দর্শকদের কাছে সাড়া ফেলে।'

'একটি কথা আমি অবশ্যই বলব, খুশি  আরও ভালো ভালো কাজ করার ক্ষমতা রাখেন। তার যোগ্যতা আছে। খুশির মতো আরও  শিল্পী আছেন আমাদের এখানে। যাদের

সেভাবে কাজে লাগানো হয়নি। এটা আমাকে ভাবায়। এটা হলে নিজেকে আরও অনেক দূর

নিয়ে যেতে পারতেন খুশি। তারপরও অভিনয় জীবনে খুশি এমন কিছু নাটকে, এমন কিছু চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা দেখে দর্শকরা কেঁদেছেন, হেসেছেন। জীবন ঘনিষ্ঠ চরিত্রে খুশির অভিনয় অসাধারণ। তার অভিনয় খুব পছন্দ করি।'

চঞ্চল বলেন, 'আমার অভিনয়ের বড় সমালোচক খুশি। বন্ধু হিসেবে আমার অভিনয় দেখেন, ভালো মন্দ বলেন। সমালোচনা করেন। বন্ধু হলে কী হয়? শুধু প্রশংসা করা হয়। কিন্তু এটা তো ঠিক না। বন্ধু হলে ভালো মন্দ এবং সমালোচনা করা যাবে না তা তো নয়?

সেই দিক থেকে খুশি আমার অভিনয়ের খুব ভালো একজন সমালোচক। এটা আমাকে

আনন্দ দেয়। পারিবারিক সম্পর্ক এবং বন্ধু হলেও ঝগড়া যে করি না তা নয়। ঝগড়াও হয়। সেটা অবশ্য শিল্প নিয়ে। শিল্প নিয়ে ঝগড়া করাটাও দারুণ ব্যাপার। পারিবারিকভাবে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আমরা প্রচুর আড্ডা দিই। সেই আড্ডায় শিল্প, সাহিত্য, নাটক ও সিনেমার নানা বিষয় উঠে আসে। বন্ধু হিসেবে চাওয়া, দীর্ঘ জীবন হোক বন্ধুর।'

Comments