‘কাজলরেখা এই বাংলার গল্প'

গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

'মনপুরা' পরিচালনা করে গিয়াস উদ্দিন সেলিম আলোচনায় আসেন এবং দর্শকরা তার প্রথম সিনেমা খুব ভালো ভাবে গ্রহণ করেন। এরপর তিনি 'স্বপ্নজাল', 'পাপপুণ্য' নির্মাণ করেছেন। তার পরিচালিত নতুন সিনেমা 'কাজলরেখা' মুক্তি পেতে যাচ্ছে এবারের ঈদে।

'কাজলরেখা' নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম।

'কাজলরেখা' নিয়ে প্রত্যাশা কতটা?

'কাজলরেখা' ময়মনসিংহ গীতিকার পালা। চারশ বছর আগের গল্প। কাজলরেখার নাম একসময় মানুষের মুখে মুখে ফিরত। এখনো নামটি আছে। মাটি থেকে উৎসারিত সাধারণের সাহিত্য এটি। সেগুলো নিয়েই এই সিনেমা।

প্রত্যেকের রক্তে, জীবনে এই গল্প বহমান। কাজলরেখা এই বাংলার গল্প। এবার সিনেমা হিসেবে আসছে রোজার ঈদে। আমার বিশ্বাস কাজলরেখা দর্শকরা গ্রহণ করবেন।

এত বছর আগের গল্প বড় পর্দায় নিয়ে আসতে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে?

চারশ বছর আগের সেট নির্মাণ, পোশাক পরিকল্পনা, গেটআপ—সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জ তো ছিলই। দুবছর ধরে নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলাম। তার বহু আগে থেকেই কাজটি নিয়ে এগোচ্ছিলাম।

ঘর-বাড়ি তৈরি করা কঠিন কাজ ছিল। আর্কিটেক্ট সাইফুল হক সহযোগিতা করেছেন এ ব্যাপারে। নাজমুল ও তার দল আর্ট ডিপার্টমেন্টে ছিল। তারাও সহযোগিতা করেছেন।

পোশাকটা আরও চ্যালেঞ্জ ছিল। দোলা ও তার দল সহযোগিতা করেছেন। চিত্রগ্রহণে ছিলেন খসরু। সংগীতে ইমন। ইমন দুবছর ধরে গান করেছেন। এডিটিংয়ে ইকবাল কবির জুয়েল এখনো সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এভাবেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজলরেখার কাজটি শেষ করেছি।

শিল্পীদের সম্পর্কে শুনতে চাই।

অভিনয় শিল্পীরা যে যার চরিত্র ফুটয়ে তোলার জন্য শতভাগ ভালোবাসা দিয়ে কাজ করেছেন। মিথিলা কংকন দাসীর চরিত্রে ভালো করেছেন। মন্দিরা কাজলরেখার চরিত্রে ভালো করেছেন। কাজলরেখার ছোটবেলার চরিত্রে সাদিয়া আয়মান সুন্দর করেছেন। আজাদ আবুল কালাম একটি চরিত্রে অনেক ভালো করেছেন। শরিফুল রাজ তার চরিত্রটিও ফুটিয়ে তুলেছেন। ইরেশ একটি ভালো চরিত্র করেছেন। প্রত্যেকে সেরাটা দিয়ে শুটিং করেছেন।

'কাজলরেখা' কি আপনার স্বপ্নের প্রজেক্ট?

একজন ফিল্মমেকারের কাছে প্রতিটি সিনেমাই স্বপ্নের প্রজেক্ট। 'কাজলরেখা'ও আমার কাছে স্বপ্নের প্রজেক্ট। অনেকদিন ধরে সিনেমাটি নির্মাণের ইচ্ছে ছিল, সেটা পূরণ হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago