কলকাতার দর্শকদের ‘সুড়ঙ্গ’প্রীতি মুগ্ধ করেছে: তমা মির্জা

তমা মির্জা। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

ঈদের সিনেমা 'সুড়ঙ্গ' মুক্তি পেয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে ৩১টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি।

প্রচারণায় জন্য সিনেমার অভিনেত্রী তমা মির্জা বর্তমানে অবস্থান করছেন কলকাতায়। তার সঙ্গে আছেন এই সিনেমার নায়ক আফরান নিশো, পরিচালক রায়হান রাফী এবং অন্যতম প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।

কলকাতা থেকে মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে তমা মির্জা বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে সুড়ঙ্গ মুক্তির আগেই আমরা এসেছি। বাংলাদেশের মতো কলকাতায়ও সুড়ঙ্গর ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার বিশ্বাস। মুক্তির আগেই কলকাতায় সুড়ঙ্গ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল।'

তমা মির্জা। ছবি: ফেসবুক থেকে

তিনি বলেন, 'কলকাতায় সুড়ঙ্গর প্রিমিয়ারে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন এবং প্রিমিয়ার শেষে প্রশংসা করেছেন। সুড়ঙ্গর একটি করে দৃশ্য শেষ হয় আর দর্শকরা উল্লাস করেন। এই বিষয়টি আমার বেশ ভালো লেগেছে।'

'কলকাতার দর্শকদের সুড়ঙ্গ প্রীতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা', যোগ করেন তিনি।

তমা মির্জা অভিনীত প্রথম কোনো সিনেমা পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে। সেই অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই ভালো লাগার অনুভূতি ছোট পরিসরে বলা সম্ভব না। সত্যিই আমি ভীষণ খুশি।'

তিনি আরও বলেন, 'কলকাতায় নিশো ভাইয়ার এত ভক্ত দেখে দারুণ লেগেছে।'

বাংলাদেশে টানা চতুর্থ সপ্তাহ ধরে চলছে সুড়ঙ্গ। শুরুতে হল সংখ্যা কম থাকলেও গত শুক্রবার থেকে দেশের ৫০টি হলে চলছে সিনেমাটি। এ বিষয়ে তমা মির্জা বলেন, 'সুড়ঙ্গর প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রকাশ এটা।'

কলকাতায় মীর আফসার আলীর সঙ্গে তমা মির্জা, আফরান নিশো ও রায়হান রাফী। ছবি: সংগৃহীত

গত ২১ জুলাই থেকে নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসের ৫৩টি থিয়েটার এবং কানাডার ১২টি শহরের ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া, ২৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ২৮টি অঙ্গরাজ্যের ১০৪টি থিয়েটারে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এটাকে সুড়ঙ্গর জন্য বড় প্রাপ্তি এবং বাংলাদেশের সিনেমার জন্য খুশির খবর বলে মনে করেন তমা মির্জা।

কলকাতার অভিজ্ঞতা বিষয়ে তিনি বলেন, 'কলকাতায় সুন্দর সময় কাটছে। সিনেমা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলছি। এটা আসলেই দারুণ সময়।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago