জীবনের শ্রেষ্ঠ ও সেরা ঈদ পেছনে ফেলে এসেছি: ফেরদৌস

ফেরদৌস। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

হঠাৎ বৃষ্টিখ্যাত নায়ক ফেরদৌস দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়। এখনো সিনেমায় সরব আছেন তিনি। তার অভিনীত বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে ছেলেবেলার ঈদ নিয়ে কথা বলেছেন ফেরদৌস ।

তিনি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে ছেলেবেলার ঈদের মতো রঙিন ও সুন্দর ঈদ আর আসবে না জীবনে। কী অসাধারণ সব মুহূর্ত পার করে এসেছি। মাঝে মাঝে ভাবি, আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম সেসব মধুর দিনগুলোতে।'

'জীবনের শ্রেষ্ঠ ও সেরা ঈদ পেছনে ফেলে এসেছি, যা শুধু ছেলেবেলায় পাওয়া সম্ভব, বড়বেলায় নয়,' বলেন ফেরদৌস।

ছোটবেলার কথা মনে করে তিনি বলেন, 'ছেলেবেলায় ঈদের দিনের জন্য ৩টি নতুন পোশাক পেতাম। সকালে পাঞ্জাবি পড়ে নামাজে যেতাম। দুপুরে টি-শার্ট আর রাতে শার্ট গায়ে দিতাম। মনে হয় এই তো সেদিনের ঘটনা। অথচ কত বছর পেছনের কথা এখনো চোখ বন্ধ করলে সেসব স্মৃতি চোখে ভাসে, নস্টালজিক করে দেয়।'

ছেলেবেলার ফেরদৌসের বেশিরভাগ ঈদ ঢাকায় কেটেছে বলে জানান তিনি। বলেন, 'অল্প কয়েকটি কেটেছে নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জের যে পাড়ায় আমরা থাকতাম, সেখানে গলাকাটা পুকুর নামে একটি পুকুর ছিল, সেই পুকুরপাড়ে ঈদের দিন বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতাম বিকেলে। বন্ধুদের কথাও মনে পড়ে। তাদের ভুলিনি।'

'ওখানে থাকার সময় ঈদের দিন সালামি বা ঈদি অবশ্যই পেতাম। সালামির টাকা দিয়ে বন্ধুরা মিলে সিনেমা দেখতে যেতাম। সিনেমা দেখার নেশাটা ছোটবেলা থেকেই আমাকে পেয়ে বসে। আর পাড়া জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর সে কী আনন্দ।'

ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে তার অনেক বছর কেটেছে উল্লেখ করে ফেরদৌস বলেন, 'ছেলেবেলা সেখানে তো কেটেছে। বাসার কাছেই ছিল গ্যারিসন সিনেমা হল। এখানে আসার পর স্কুল বদল হয়, বন্ধুত্ব হয় অনেকের সঙ্গে। নাবিল, জয়, আসিফসহ আরও অনেক বন্ধু আমার। ওদের নিয়ে ঈদের বিকেলে গ্যারিসন হলে সিনেমা দেখাটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।'

'ছেলেবেলায় অনেক ঈদি পেতাম। ঈদি দিয়ে ঈদের দিন সিনেমা দেখতাম ছেলেবেলায়। ওটার আনন্দই দারুণ ছিল। খাবার-দাবার তো ছিলই। এখন অবশ্য দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এখন কাছের মানুষরা ও চারপাশের মানুষদের ঈদটা ভালো কাটল কি না সেটা দেখতেই ভালো লাগে। ড্রাইভার থেকে শুরু করে বাসার প্রতিটি সদস্যের খোঁজখবর নিতে হয়। ওদের সবার খুশিতে আমিও খুশি হই।'

ফেরদৌস বলেন, 'এখনো ঈদে সালামি পাই। মায়ের কাছ থেকে, শাশুড়ির কাছ থেকে ঈদের উপহার পাই। খুব ভালো লাগে। এই ঈদে শাশুড়ির দেওয়া উপহার পেয়েছি।'

'যত ঈদ এক জীবনে আসুক না কেন, ঘুরেফিরে ছেলেবেলার ঈদকে আমি শ্রেষ্ঠ ঈদ বলব, সবচেয়ে রঙিন ঈদ বলব, যা কখনো ভোলার নয়,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago