‘দিনটির কথা ভুলে গেলেও কেউ না কেউ মনে করিয়ে দেয়’

ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। চলতি বছর তার অভিনীত 'জলে জ্বলে তারা' সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। 'অ্যালেন স্বপন টু' মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে। এই সিরিজ তাকে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত করেছে। এক বছর আগে 'কাজলরেখা' সিনেমায় অভিনয় করেও প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। অভিনয় করেছেন কলকাতার বাংলা সিনেমাতেও।

আজ ২৫ মে মিথিলার জন্মদিন।

বিশেষ এই দিনে অফিস থেকেই দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে বলেছেন, সারাদিন অফিস করছি। কাজের মধ্যে আছি। কাজের মধ্যেই মানুষের শুভেচ্ছা পাচ্ছি। ভালো লাগছে।

আজকের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। যেহেতু অফিস আছে, কাজের প্রাধান্য আগে। তা ছাড়া, ছোটবেলার মতো প্রবল আগ্রহ এখন নেই। এখন কাজই সব। তারপরও রাতে মেয়ে-মাসহ আমরা বের হব। বাইরে কোথাও খাওয়া-দাওয়া করব।

ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

জন্মদিনে মিথিলাকে সবার আগে শুভেচ্ছা জানিয়েছে তার মেয়ে। মায়ের জন্য কেকও বানিয়েছে। মিথিলা বলেন, মেয়ে তো জানেই কোন কেক আমার পছন্দ। জন্মদিনে মেয়ে আমার জন্য কেক বানিয়েছে।

জন্মদিনে দ্বিতীয় শুভেচ্ছা বার্তাটি এসেছে স্বামী সৃজিত মুখার্জির কাছ থেকে। মিথিলা বলেন, সৃজিত ফোন করেছিল। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

জন্মদিনে দিনভর সিক্ত হচ্ছেন অনেক মানুষের ভালোবাসায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে নানাভাবে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভক্তরা। কেমন লাগে এত মানুষের ভালোবাসা, জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, ভালোই তো লাগে। দিনটির কথা ভুলে গেলেও কেউ না কেউ মনে করিয়ে দেন। এটাকে আমি ইতিবাচকভাবে দেখি। মানুষের ভালোবাসা অনেক বড় কিছু।

রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

'তবে, এখন আর বড় করে জন্মদিন পালন করি না। ইচ্ছে করে না। তবে ছোটবেলায় খুব হইচই করে জন্মদিন উদযাপন করা হত। আমি পরিবারের বড় মেয়ে। ছোটবেলায় আব্বা-আম্মা খুব বড় করে দিনটি উদযাপন করতেন। সবাইকে নিমন্ত্রণ করতেন। বাসায় অনুষ্ঠান হত। অনেক আনন্দ করতাম। স্মৃতিতে ভাসে সেসব দিনের ছবি।'

আপাতত নতুন কোনো সিনেমা কিংবা ওটিটিতে কাজ করছেন না মিথিলা। তবে, একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে আছেন। তা ছাড়া, কোরিয়ান একটি জনপ্রিয় সিরিজের ডাবিং করছেন। মিথিলা বলেন, আমি তো কাজ কম করি।

'অ্যালেন স্বপন টু' করে কতটা সাড়া পেয়েছেন, জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, বেশ সাড়া পেয়েছি। সবাই খুব প্রশংসা করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

15h ago