সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার প্রতিবাদ চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের
মাল্টিপ্লেক্স-সিনেমা হল ও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) ক্যান্টিনের সামনে থেকে 'সচেতন চলচ্চিত্র সাংবাদিক' ব্যানারে মৌন মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এফডিসির মূল ফটকের সমনে গিয়ে প্রতিবাদ সভা করে।
মাকসুদুল হক ইমুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদী সমাবেশের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সারা দেশের মাল্টিপ্লেক্স ও সিনেমা হলে হামলা ভাঙচুর, সংস্কৃতি অঙ্গনের স্থাপনাগুলোতে হামলা ও শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও নিন্দা প্রকাশের এই আয়োজনে হাজির ছিলেন সাংবাদিক শফিক আল মামুন (প্রথম আলো), অনিন্দ্য মামুন, (সমকাল), নাজমুল আলম রানা (চ্যানেল টোয়েন্টিফোর), বুলবুল আহমেদ জয় ( একাত্তর টিভি) আল কাছির (সময় টিভি), প্রতীক আকবর (বিজয় টিভি), পান্থ আফজাল (বাংলাদেশ প্রতিদিন), আলী আফতাব (দেশ টিভি), মুহিব আল হাসান (সময় টিভি), রাজন হাসান (জিটিভি), তারেক আনন্দ (আমাদের সময়), এন আই বুলবুল (জণকণ্ঠ), এটিএম মাকসুদুল হক ইমু (চ্যানের টুয়েন্টিফোর) নাহিয়ান ইমন (চ্যানেল আই), শাহরিন মাহফুজা জেবিন (চ্যানেল টোয়েন্টিফোর), তামিম হাসান (চ্যানেল টুয়েন্টিফোর) সায়মা স্মৃতি (এখন টিভি), এনআই বুলবুল (জনকণ্ঠ), নিথর মাহবুব (সংবাদ), রিফাত (এটিএন), মারজান ইভান (আরটিভি), বুলবুল ফাহিম (দৈনিক সমকাল) ও মেহেরা রহমান সিমরানসহ (আরটিভি) আরও অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের হাত ধরে আজ যে স্বাধীনতা এসেছে এটাকে একটি কুচক্রী মহল বিতর্কিত করা চেষ্টা করছে। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মাল্টিপ্লেক্স-সিনেমা হল ও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাণ্ডব চালিয়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।'
তারা আরও বলেন, 'প্রাচ্যনাটের থিয়েটারকর্মী ও জলের গানের মূল সমন্বয়ক রাহুল আনন্দের বাড়ি এবং তার সকল বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। যিনি কিনা শুরু থেকেই ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসছিলেন। এসব জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।'
Comments