গানে গানে শিল্পকর্ম ধ্বংসের প্রতিবাদ করলেন শিল্পীরা
'শিল্প, স্থাপনা ও শিল্পাঙ্গন ধ্বংসের বিরুদ্ধে অবস্থান' ব্যানারে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সামনে রাহুল আনন্দের শিল্পীসঙ্গীরা কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় তারা গান গেয়ে ও হাতে নানা ধরনের পোস্টার নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পকর্ম ভাঙচুর ও সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ করেন।
পরে তারা গানের মিছিল নিয়ে শিল্পকলা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত যান।
এক বিবৃতিতে অতি দ্রুত দেশের জনগণের সুরক্ষা এবং সহিংসতা বন্ধের জন্যও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান শিল্পীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতিকারীরা ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটতরাজ করছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাট, থানা জ্বালিয়ে দেওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এবং বিখ্যাত ঐতিহ্য ময়মনসিংহের শশীলজসহ নির্বিচারে ভাঙচুর ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপরে হামলা, তাদের সম্পত্তি লুটপাট ও পোড়ানো হয়েছে।
তারা বলেন, 'এ পর্যন্ত সাতটির মতো থিয়েটার দল পুড়িয়ে দেওয়ার খবর পাচ্ছি। প্রাচ্যনাটের থিয়েটার কর্মী এবং জলের গানের মূল সমন্বয়ক রাহুল আনন্দের বাড়ি এবং তার সকল বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা শুধু নিন্দা বা উদ্বেগের নয় আক্ষেপেরও বটে। সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে ও মিডিয়া কর্মীদের ওপরে হামলা হয়েছে। এসব বহু হামলার খবর মিডিয়ায় পরিবেশিত হয় নাই এখনো। থানায় থানায় ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের উপর হামলা করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ওপর হামলা করছেন। এরকম পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের নানান জায়গা থেকে আমরা শিল্পী, শিল্পসংগঠক, থিয়েটারকর্মী এবং থিয়েটার দলগুলোর পক্ষ থেকে চরম উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার খবর পাচ্ছি।'
অতি দ্রুত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেশে চালুর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, 'আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস একযোগে রুখে দিতেও আমরা বদ্ধপরিকর। পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা হবে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম লক্ষ্য। তাই ছাত্র-জনতার এই অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানকে কেউ কালিমালিপ্ত করতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। উল্লাস-উচ্ছ্বাস যাতে কোনরকম প্রতিহিংসার জন্ম না দেয় সেদিকে দায়িত্বশীল নাগরিকদের সজাগ থাকতে হবে।'
Comments