রুনা লায়লা, এন্ড্রু কিশোর, জেমসের পর বলিউডের গানে আসিফ আকবর

আসিফ আকবর। ছবি: ফেসবুক থেকে

বলিউডে গান গেয়েছেন বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। সম্প্রতি ভারতে গিয়ে এ আর রাহমানের কে এম স্টুডিও ও যশ রাজ স্টুডিওতে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেকের কথা জানান। লেখেন, 'আলহামদুলিল্লাহ। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অভিষেক ঘটেছে। প্রিয় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছি। আল্লাহ মহান। ভালোবাসা অবিরাম।'

তবে সিনেমার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি এই শিল্পী।

আসিফ আকবরের আগে বলিউড সিনেমায় হিন্দি গান গেয়েছেন বাংলাদেশের আরও কয়েকজন শিল্পী। তাদের গানগুলো পেয়েছে শ্রোতপ্রিয়তা। গানের যে কোনো কাঁটাতার বা সীমানা নেই তা প্রমাণ করেছেন।

বলিউডে প্লেব্যাক করা শিল্পীদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে রুনা লায়লার নাম। ১৯৭৬ সালে বিখ্যাত সংগীতপরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সুরে 'এক সে বাড়কার এক' সিনেমার আইটেম গানে প্রথম কণ্ঠ দেন রুনা। এরপর তিনি ভূপিন্দর সিংয়ের সঙ্গে 'ঘরোন্দা' ছবিতে 'দো দিওয়ানে শেহের মে' গান করেন। মোহম্মদ রফির সঙ্গে 'জান-ই-বাহার' সিনেমার রুনার গাওয়া 'মার গায়ো রে' গানটি বেশ আলোচিত হয়।

এছাড়াও, রুনা বলিউডে 'ও মেরা বাবু ছেলছাবিলা মে তো নাচুঙ্গি', 'সাপনো কা মান্দির', 'অ্যায় দিলওয়ালে আও' ও 'কাহো সাখি কাহো' গেয়েছেন।

বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী প্রয়াত এন্ড্রূ কিশোর প্লেব্যাক করেছিলেন আরডি বর্মণের সুরে। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজিত প্রমোদ চক্রবর্তীর পরিচালনায় 'শত্রু' সিনেমায় গান করেন তিনি। গীতিকার মাজরু সুলতানপুরির লেখা 'সুরেজ চান্দা', 'মে তেরি বিসমিল হু' গান দুটি মুগ্ধ করেছিল শ্রোতাদের।

বাংলাদেশের মাহফুজ আনাম জেমস ২০০৫ সালে বলিউড সুরকার প্রীতমের সুরে অনুরাগ বসুর পরিচালনায় 'গ্যাংস্টার' সিনেমায় 'ভিগি ভিগি রাতে' গানে প্রথম কণ্ঠ দেন। গানটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পায়।

এরপর ২০০৬ সালে জেমস 'ও লামহে' ও ২০০৭ সালে 'লাইফ ইন অ্যা মেট্রো' সিনেমায় 'আলবিদা', 'রিশতে' ও 'চাল চালে আপনে ঘার' গানে অংশ নেন। ২০১৩ সালে 'ওয়ার্নিং' ছবির 'বেবাসি' গানটি গেয়েছেন তিনি।

জেমসের পর বলিউডে প্লেব্যাকে ২০২৪ সালে নাম লেখালেন বাংলাদেশের আরেকজন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। এখন শ্রোতাদের অপেক্ষা গানটির জন্য।  

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

3h ago