‘অভিনয় ক্যারিয়ারের জার্নিটা একার নয়, সবার অবদান আছে’

মেহজাবীন চৌধুরী, দ্য সাইলেন্স, ভিকি জাহেদ,
মেহজাবীন চৌধুরী। স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ওয়েব সিরিজেও নিজেও অভিনয় দক্ষতায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সম্প্রতি 'দ্য সাইলেন্স' ওয়েব সিরিজ দিয়েও আলোচনায় এসেছেন। এসব নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী।

'দ্য সাইলেন্স'-এ আপনার অভিনয়ের সবাই প্রশংসা করছেন, কেমন লাগছে?

সত্যি কথা বলতে, আমার কো-আর্টিস্টরা, ভক্তরা যেভাবে দ্য সাইলেন্সকে গ্রহণ করেছেন, এটা অবশ্যই বড় প্রাপ্তি । অনেক সহশিল্পীরা এটা নিয়ে লিখেছেন, আলোচনা করেছেন, প্রশংসা করেছেন। একটি ভালো কাজের স্বীকৃতি এটাই। এভাবেই কাজ করতে চাই।

আপনার ক্যারিয়ারে অনেক ভালো ভালো নাটক, টেলিফিল্ম, ওয়েব সিরিজ যুক্ত হয়েছে, এজন্য কার অবদান বেশি?

সবার অবদান আছে। প্রতিটি কাজের প্রোডাকশনবয় থেকে শুরু করে পরিচালক, সহশিল্পী, সহকারী পরিচালক এবং ইউনিটের সবার ভালোবাসা এবং সাপোর্ট আছে। আমার অভিনয় ক্যারিয়ারের জার্নিটা একার নয়, সবার অবদান আছে। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রথম যে নাটকে অভিনয় করেছিলাম সেই নাটকের পরিচালক, সহশিল্পী থেকে শুরু করে সবার কথা মনে আছে। সবাই আমাকে ভীষণভাবে সাপোর্ট করেছিলেন।

'দ্য সাইলেন্স' ওয়েব সিরিজের চরিত্রটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

আমার চরিত্রের নাম রুবি। হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জিং ছিল চরিত্রটি। প্রথমে ভেবেছিলাম কীভাবে করব। কেননা, লুকে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পুরোপুরি সাইলেন্স থাকা কঠিন কাজ ছিল। কোনো কথা থাকবে না। কীভাবে এক্সপোজ করব। সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল। কিন্তু, শুটিং করার সময় চরিত্রের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলাম। কাজটি শেষ করার পর ভালো লেগেছে।

এখন তো চারদিকে নতুন লুকের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে?

নতুন লুক সবাই পছন্দ করেছেন। এটা বড় বিষয়। ভালো লাগছে অবশ্যই। বড় কথা হচ্ছে দর্শকরা লুকটি গ্রহণ করেছেন। তাদের জন্যই অভিনয় করা।

ভিকি জাহেদ দ্য সাইলেন্স ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন, তাকে নিয়ে বলুন?

ভিকি জাহেদ এমন একজন পরিচালক, তার কাজে সবসময়ই নতুনত্ব থাকে। দর্শকের বিষয়টি মাথায় থাকে তার। যেজন্য দর্শকরা তার কাজগুলো সহজেই গ্রহণ করেন। ভিকি জাহেদ তার কাজটির সঙ্গে আমাকে যুক্ত করেছেন, এজন্য আমি হ্যাপি। পরিচালক হিসেবে অনেক ভালো তিনি।

আপনাকে কেন্দ্র করে গল্প লেখা হয়, চরিত্র লেখা হয়, কেমন লাগে?

এটা তো অবশ্যই ভালো লাগে। আমি খুশি। এটাকে খুব ইতিবাচকভাবেই দেখি। আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য সত্যি আমি মুগ্ধ।

অনেকেই বলছেন, মেহজাবীন এখন পরিপূর্ণ  শিল্পী- আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

কেউ যদি মনে করে, তাহলে তাকে ধন্যবাদ। কিন্তু পরিপূর্ণতার সংজ্ঞা আমি জানি না। আমি ভিন্নভাবে বলতে চাই, আমার জায়গা থেকে অভিনয়টা সিরিয়াসভাবে করি। যখন যে কাজটি করি সেটা যেন আরও সুন্দর হয়, ভালো হয়, এটাই চেষ্টা থাকে।

নতুন করে আলোচনায় আসা ওয়েব সিরিজটি নিয়ে আপনার পরিবারের সবার বক্তব্য কী?

অভিনয় দিয়ে বাসার সবাইকে খুশি করা কঠিন। নতুন কী পেল অভিনয়ে এটা বাসায় সবসময় দেখে। ভালো লাগলে প্রশংসাও করে। দ্য সাইলেন্স দেখে বাসার সবাই খুশি। দ্য সাইলেন্স-এর সিজন টু আসবে কিনা এটাও বলেছেন। আমার কাজ সবার আস্থার জায়গা তৈরি করা। সেটা হয়তো পেরেছি।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

In a year stripped of spectacle, interim govt set to deliver an outlay shaped by restraint, realism and possibly, reform

10h ago