সহশিল্পীদের পেয়ে কাঁদলেন মাসুদ আলী খান
৯৩ বছর বয়সী গুণী অভিনেতা মাসুদ আলী খান দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে আছেন। ঘর থেকেও তেমন একটা বের হতে পারেন না। হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। ঘরের বাইরে গেলেও হুইল চেয়ারই ভরসা। সেজন্য তার বেশিরভাগ সময় কাটে ঘরের ভেতরে।
অসংখ্য টেলিভিশন নাটক ও সিনেমার এই বরেণ্য অভিনেতা গতকাল ৩ মাস পর ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের আয়োজনে আলী যাকের নতুনের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য এবং খালেদ খান সম্মাননা গ্রহণ করার জন্য এই বের হওয়া।
খালেদ খান সম্মাননা পেয়ে মাসুদ আলী খান বলেন, 'ভালো লাগছে। খুবই ভালো লাগছে। সত্যি কথা বলতে খালেদ খানের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। তাকে সবসময় বলতাম, তুমি গানটাও নিয়মিত কর। অসাধারণ গায়কি ছিল তার।'
এদিকে পুরনো দিনের অনেক প্রবীণ অভিনেতার সঙ্গেও দেখা হয়েছে তার। এত দিনের চেনাজানা লোকজনের দেখা পেয়ে আপ্লুত হয়ে যান তিনি। চোখ ভিজে যায়।
মাসুদ আলী খান বলেন, `ভাবতেই পারিনি এত এত আপন মানুষের সঙ্গে দেখা হবে। সহশিল্পীদের পেয়ে কেঁদে দিয়েছিলাম। চোখের পানি আটকাতে পারিনি।'
তিনি আরও বলেন, 'জীবনের বেশিরভাগ সময় অভিনয় করে কেটেছে। এখন অভিনয় করতে পারি না। দু:খ হয়, খারাপ লাগে। অভিনয় করতে না পারলেও অভিনয়টা দেখতে পারি টেলিভিশনে। সৃষ্টিকর্তার কাছে বলি, অভিনয় না করতে পারলেও অভিনয় দেখাটা কেড়ে নিও না।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকেরসহ অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। এটাই আমার জন্য আনন্দের। শিল্পী জীবনের বড় পাওয়া এটি।'
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে কূল নাই কিনার নাই, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই।
Comments