ওটিটি অ্যাওয়ার্ড নিয়ে যা ভাবছেন তারকারা
রাত পোহালেই পর্দা উঠছে ব্লেন্ডারস চয়েস-দ্য ডেইলি স্টার ওটিটি অ্যান্ড ডিজিটাল কন্টেন্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০২১ এর। আগামীকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এই অনুষ্ঠান।
প্রথমবারের মতো এই ওটিটি অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করতে যাচ্ছে দ্য ডেইলি স্টার। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শোবিজ তারকারা।
ফজলুর রহমান বাবু
ডেইলি স্টার প্রথমবারের মতো ওটিটিতে কাজের স্বীকৃতির জন্য পুরস্কারের আয়োজন করেছে। অবশ্যই এটি প্রশংসনীয় কাজ। অভিনন্দন জানাই। যারা পুরস্কার পাবেন তাদের জন্য আমার ভালোবাসা ও অভিনন্দন। সেইসঙ্গে যারা নমিনেশন পেয়েছেন তাদের জন্যও ভালোবাসা। সত্যি কথা বলতে শিল্পীরা কাজ করেন ভালোবাসা থেকে, পুরস্কারের জন্য নয়। তারপরও পুরস্কার কাজের স্বীকৃতি। পুরস্কার পেলে ভেতরে ভালোলাগা তৈরি হয়। এই উদ্যোগটি উদাহরণ হয়ে থাকবে—এটাই প্রত্যাশা।
আজিজুল হাকিম
যতদূর জেনেছি, ওটিটি নিয়ে এটাই প্রথম পুরস্কারের অনুষ্ঠান। আমরা অভিনয়শিল্পীরা নানা মাধ্যমে কাজ করি। কেউ মঞ্চে, কেউ টেলিভিশন নাটকে, কেউ সিনেমায়। এখন ওটিটি বড় একটা জায়গা করে নিচ্ছে। ওটিটির বাতাস বইছে সবখানে। দর্শকরা নতুন কনটেন্টের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। এদেশে ওটিটির নতুন জোয়ার শুরু হয়েছে। চ্যালেঞ্জিং অনেক কাজও হচ্ছে। ভালো কাজকে ভালো বলতেই হবে। ডেইলি স্টারের এমন আয়োজন বহু বছর অব্যাহত থাকুক। শিল্পীরা স্বীকৃতি পেয়ে আরও উদ্যমী হোক।
চঞ্চল চৌধুরী
অভিনয়শিল্পীর কাজই হচ্ছে অভিনয় করা, তা যে কোনো মাধ্যমেই হোক। কিন্তু ওটিটি এখন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা মাধ্যম। আমার সৌভাগ্য এই মাধ্যমে বেশকিছু ফিল্ম আমি করেছি, যা প্রশংসিত হয়েছে। ওটিটির নতুন জোয়ার শুরু হয়েছে। এটাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। সেখানে ওটিটি নিয়ে ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকা অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করেছে, জেনে সত্যি আমি খুশি। এটি যেন ধারাবাহিকভাবে চলে। আমরা শিল্পীরা ভালোবাসায় বাঁচতে চাই। ডেইলি স্টারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এমন আয়োজনের জন্য।
ফেরদৌস
আমি শতভাগ ফিল্মের মানুষ হলেও ওয়েব ফিল্ম কিংবা ওয়েব সিরিজ দেখি। এই মাধ্যমটিতে আলোচিত অনেকগুলো কাজ হয়েছে। সামনে হয়তো আরও অনেক ভালো কাজ হবে। শোবিজ নিয়ে এদেশে নানা ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয়। শুধু ওটিটি নিয়ে ডেইলি স্টারেরর পুরস্কারের আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে । এতে করে যারা এই মাধ্যমে কাজ করেন, তাদের ভেতর বাড়তি আগ্রহ কাজ করবে। আগামীকাল যারা পুরস্কার পাবেন, তাদের জন্য আগাম অভিনন্দন। এই পুরস্কার যেন অনেক বছর ধরে চালু রাখা হয়।
তারিক আনাম খান
তরুণ কয়েকজন পরিচালক, তরুণ কয়েকজন গল্পকার ওটিটির জন্য ব্যতিক্রম সব গল্প ভাবনা নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন, কঠোর পরিশ্রম করছেন। তাদের পরিশ্রমের কাজগুলো দর্শকরা খুব ভালো মতোই নিচ্ছেন। বেশ কয়েকটি ওয়েব ফিল্ম নিয়ে দর্শকদের মাঝে তুমুল আগ্রহ দেখা গেছে। এতে করে আমাদের দেশের এই ঘরানার কাজগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন পাশের দেশের দর্শকরাও। এটা তো দেশীয় শিল্পী ও নির্মাতার জন্য সুখবর। আর এমন একটি মাধ্যমকে পুরস্কার দিয়ে স্বীকৃতি জানাচ্ছে ডেইলি স্টার। আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি পত্রিকাটিকে।
তমা মীর্জা
সিনেমা করছি বেশ কয়েক বছর ধরে। সিনেমা করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছি। কিন্ত ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেও প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। বিশেষ করে খাঁচার ভেতর অচিন পাখি, সাত নম্বর ফ্লোর আমাকে নতুনভাবে দর্শকদের কাছে বড় একটা পরিচিতি এনে দিয়েছে। আগামী ৩ বছর ওটিটির জন্য অনেকগুলো কাজ আমার হাতে রয়ে গেছে। আরও স্ক্রিপ্ট আসছে। এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য যেমন ভালো, তেমনি ওয়েব ফিল্মের ভবিষ্যতও ভালো। এমন একটি মাধ্যম নিয়ে ডেইলি স্টার পুরস্কারের আয়োজন করেছে, এটা তো ওটিটিতে কাজ করা শিল্পীদের জন্য বড় একটা সারপ্রাইজ। ভীষণ আনন্দিত আমি । পুরস্কারের আশায় অভিনয় না করলেও পুরস্কার তো একটা ভূমিকা রাখেই। প্রতি বছর ডেইলি স্টার এই পুরস্কার দিয়ে যাবে, এটাই চাওয়া ।
Comments