প্রথম ওয়েবসিরিজ হওয়ায় বাড়তি আনন্দ কাজ করছে: মিম

বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ

অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ 'মিশন হান্টডাউন' হইচইয়ে মুক্তি পাচ্ছে অগামীকাল বুধবার। সেখানে তিনি নীরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইতোমধ্যে ওয়েব সিরিজটির ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে এবং তা প্রশংসাও কুড়িয়েছে। অন্যদিকে মিম অভিনীত 'অন্তর্জাল' সিনেমা এই ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাচ্ছে না।

নতুন ওয়েব সিরিজসহ অভিনয় জীবনের নানা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন বিদ্যা সিনহা মিম।

দ্য ডেইলি স্টার: প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন, ২৮ জুন তা মুক্তি পাচ্ছে। কেমন লাগছে?

বিদ্যা সিনহা মিম: মিশন হান্টডাউন নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ এটি। ট্রেলার প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে ভীষণ রকমের সাড়া পাচ্ছি সবার কাছ থেকে। সবাই প্রশংসা করছেন। প্রশংসা পেয়ে ভালো তো লাগছেই। ভক্ত ও দর্শকদের বলব, আপনারা মিশন হান্টডাউন দেখবেন। মতামত জানাবেন। ক্যারিয়ারের এত বছর পর প্রথমবার ওয়েব সিরিজে নিজেকে দেখতে পারব, সেজন্য বাড়তি ভালো লাগা ও আনন্দ কাজ করছে।

ডেইলি স্টার: আপনার কাজ নিয়ে পরিচালক কতটা খুশি?

মিম: আমার কাজ নিয়ে, আমার অভিনীত নীরা চরিত্রটি নিয়ে পরিচালক পরিচালক সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ বেশ খুশি। পরিচালক যেখানে চেয়েছেন, আমরা অভিনয়শিল্পীরা সেভাবেই অভিনয় করেছি। চেষ্টা করেছি সুন্দর করে চরিত্রটি হয়ে উঠতে। পরিচালকও যত্ন নিয়ে, শ্রম দিয়ে কাজটি করেছেন।

বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ
বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ

ডেইলি স্টার: মিশন হান্টডাউনে আপনি নীরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি সম্পর্কে যদি পাঠকদের কিছু বলতেন?

মিম: নীরা গ্রামের মেয়ে। তার স্বামী নিখোঁজ হয়। স্বামীকে খুঁজতে শহরে আসে নীরা। নানা জায়গায় যায় স্বামীকে খুঁজতে। নীরার জীবনের বড় একটি জার্নিসহ নানা ঘটনা উঠে আসবে। আমি চেষ্টা করেছি নীরা চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকতে। শুটিং করার সময় নীরার প্রেমে পড়েছিলাম। নীরা খুব চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। নীরা চরিত্রটি সব শ্রেণির দর্শকদের ভালো লাগবে।

ডেইলি স্টার: শুটিং শেষ করার পর নীরা চরিত্রটি আপনার মধ্যে কতটা বসবাস করেছে?

মিম: যখন মিশন হান্টডাউন ওয়েব সিরিজের শুটিং করেছি, তখন নীরা চরিত্রটি আমার মধ্যে বসবাস করেছে। নীরার মধ্যে ডুবে ছিলাম। শুটিং শেষ করার পর বাস করেনি। নীরা খুব সাধারণ একটি মেয়ে। স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর তার জীবনে বিচিত্র সব ঘটনা ঘটবে। সব গল্প বলতে চাই না। সবাই হইচইয়ের এই কাজটি দেখবেন, সেটাই প্রত্যাশা করছি।

ডেইলি স্টার: কোথায় কোথায় শুটিং করেছেন?

মিম: মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন আউটডোরে শুটিং করেছি। গল্পের প্রয়োজনে নানা জায়গায় শুটিং করেছি। দর্শকদের ভালো লাগবে কাজটি। গল্পের মধ্যে ভিন্নতা আছে। শুটিং করতে নানা লোকেশনে গিয়ে উপভোগ করেছি কাজটি। লোকেশনও দারুণ ছিল।

ডেইলি স্টার: প্রথম সিনেমায় নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদকে পরিচালক হিসেবে পেয়েছিলেন, সেই গল্পটি জানতে চাই?

মিম: আমার প্রথম সিনেমা 'আমার আছে জল'। এটি নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা ও পরিচালিত সিনেমা। তখন সদ্য লাক্স সুপারস্টার হওয়ার পর কাজটি করি। হুমায়ূন আহমেদ তো বহু মানুষের স্বপ্নের মানুষ। আমারও। এত বড় একজন লেখকের লেখা ও পরিচালনায় প্রথম সিনেমায় কাজ করতে যাওয়ার সময় নার্ভাসনেস কাজ করেছিল। কিছুটা ভয়ও ছিল। কিন্তু হুমায়ূন স্যার এমনভাবে সহজ করে দিয়েছিলেন, যা আমার জন্য পজিটিভ ছিল। ওই সিনেমায় জাহিদ হাসান, ফেরদৌসসহ অনেকে ছিলেন। সবার সঙ্গে কাজ করে বিরাট অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার।

বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ

ডেইলি স্টার: কলকাতার সিনেমাটি কবে আসছে?

মিম: সেটা পরিচালক বলতে পারবেন। এটুকু বলতে পারি, খুব ভালো একটি সিনেমা আসছে। 'মানুষ' সিনেমায় আমার বিপরীতে আছেন জিত। তার সঙ্গে আগেও সিনেমা করেছি। এটা আরও বেটার সিনেমা হতে যাচ্ছে।

ডেইলি স্টার: ঢাকাই সিনেমায় আপনার টার্গেট?

মিম: একটাই টার্গেট বা চাওয়া, ভালো ভালো সিনেমা করে সব শ্রেণির দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। অনেক কাজ না করেও মান ধরে রেখে কাজ করতে চাই। ভালো ভালো চরিত্রে নিজেকে দেখতে চাই। যেমন: নীরা একটি পছন্দের চরিত্র।

ডেইলি স্টার: এতদূর আসার পেছনে পরিবারের সাপোর্ট কতটা ছিল?

মিম: পরিবারের শতভাগ সাপোর্ট ছিল। পরিবারের সাপোর্ট, ভালোবাসা, সহযোগিতা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। তা ছাড়া আমার চেষ্টা তো ছিলই। আর ছিল মানুষের ভালোবাসা।

Comments

The Daily Star  | English

Tribunal-2 to be formed to expedite trials: ICT Adviser

Alam did not elaborate on the specific legal amendments or timeline for the formation of the new tribunal

52m ago