ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় প্রধান বাধা সরকারের কর কাঠামো: গবেষণা

সেমিনারে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) অর্ধেকের বেশি উদ্যোক্তা মনে করেন, সরকারের কর কাঠামো তাদের ব্যবসায় প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করে। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতিকেও বাধা হিসেবে দেখেন সিংহভাগ উদ্যোক্তা।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেডরিখ ইবার্ট স্টিফটাংয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশের এসএমই খাত নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজিত হয়। সেখানে এসএমই ফাউন্ডেশনের গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন।

গবেষণা অনুযায়ী, আইন মেনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কর কাঠামোকে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৫৭ শতাংশ এসএমই উদ্যোক্তা। আর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতিকে বাধা মনে করেন ৫৪ শতাংশ উদ্যোক্তা।

গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, দেশের ৭৪ শতাংশের বেশি এসএমই উদ্যোক্তা সরকারের আইন-কানুন মেনে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক।
সেটি নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে ওয়ান স্টপ সেবা চালু করা, জামানতবিহীন ঋণ এবং আইন মেনে ব্যবসা করার সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর ৩০৪ উদ্যোক্তার ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।

উদ্যোক্তাদের বরাত দিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন জানায়, ভারতে এসএমই উদ্যোগের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে সাতটি সনদ নিতে হয়। এদিকে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের অন্তত ৩৪টি দপ্তর থেকে সনদ নিতে হয়।

২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অর্থনৈতিক জরিপ অনুসারে, দেশের ৭৮ লাখের বেশি সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠান প্রায় আড়াই কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই অনানুষ্ঠানিক বা সরকারের কর কাঠামোর বাইরে।

এ অবস্থায় এসব প্রতিষ্ঠানকে আইন-কানুন ও কর কাঠামোর আওতায় আনতে একটি সামগ্রিক কৌশলপত্র তৈরি, ধাপে ধাপে আনুষ্ঠানিকীকরণ, নিয়ম-কানুন সহজীকরণ এবং উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রণোদনা দিতে সরকারকে সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt launches probe into last 3 national polls

The government has formed a committee to investigate allegations of corruption, irregularities, and criminal activities in the three national elections held in 2014, 2018, and 2024.

5h ago