‘প্রবৃদ্ধির মহাসড়ক’
চলতি সহস্রাব্দের শুরুতে সিলেট ও ঢাকার মধ্যে সড়কপথে ভ্রমণ ছিল অনেকটা দুর্গম অঞ্চলে যাওয়ার মতোই। এই পথে কেটে যেত ১০ ঘণ্টারও বেশি সময়। আঁকাবাঁকা-সরু পথে অনেক ঝক্কি পোহাতে হতো।
সেসব এখন অতীত।
রাজধানী ঢাকা থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী 'সেভেন সিস্টার্স'-খ্যাত রাজ্যগুলোর কাছাকাছি যেতে পথের সময় এখন অনেক কমেছে। ফলে দেশের পূর্বাঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বিস্তীর্ণ ফসলের খেত ও জলাভূমি হাওরকে ঘিরে বিকশিত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদ।
প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গড়ে উঠছে কারখানা। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারকে মাথায় রেখে পণ্য তৈরি হচ্ছে সেসব কারখানায়। ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে এমন দৃশ্য অনেকেই হয়ত কল্পনাও করতে পারেননি।
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকা শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আকর্ষণীয় জায়গায় পরিণত হয়েছে।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় এখন ভোরের নিস্তব্ধতা ভাঙছে আশপাশের এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের ব্যস্ত পদচারণায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিক সাদেকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলাকাটি ব্যস্ত শিল্পাঞ্চল হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন কাজ চলে। কারখানায় হাজারো মানুষের কাজের সুযোগ হয়েছে। এলাকাটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে।'
তার মতে, 'গত দুই দশক ধরে এই এলাকায় ধীরে ধীরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৩ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংস্কারের মাধ্যমে এই উন্নয়ন শুরু হয়।'
এই মহাসড়ক সংস্কারের পর ব্যবসায়ীরা জমি কিনতে তোড়জোড় শুরু করেন। কম দামে জমি কিনতে পারায় কারখানার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হাজার হাজার একর জমি কিনেছে। শিল্পপতিদের হাত ধরে গত দেড় দশকে এখানে হালকা, মাঝারি ও ভারী শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৬০ শতাংশ সরবরাহ করা হবিগঞ্জে সহজে গ্যাস পাওয়া যায় বলে অঞ্চলটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের রূপ নিচ্ছে।
মাধবপুরের ব্যবসায়ী মিফতাউল হোসেন চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানকার জমি অত উর্বর না। কৃষিকাজ কম হয়। কাজের সুযোগ খুবই কম।'
তিনি আরও বলেন, '২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় এখানে কারখানা গড়তে ব্যবসায়ীরা উৎসাহী হন।'
হবিগঞ্জের শাহপুর এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া (৫৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জমি একদিকে পতিত ও অন্যদিকে বন্যাপ্রবণ। চাষাবাদ আশানুরূপ না হওয়ায় জমির দাম কম।'
কম দামে জমি, গ্যাসের সহজলভ্যতা ও ঢাকার কাছে হওয়া—এ সবই আশীর্বাদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এগুলো ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করে। শিল্প বিকাশের পথ প্রশস্ত করে।
বিকশিত শিল্প স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে। এখানে কমপক্ষে দুই লাখ মানুষের কাজের সুযোগ হয়েছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক যেন প্রবৃদ্ধির মহাসড়কে পরিণত হয়েছে।'
তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে কৃতিত্ব দিয়ে আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার যখন রাষ্ট্রীয় গ্যাস প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তখন অর্থমন্ত্রীর তদবিরে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডকে ওই আদেশের বাইরে রাখা হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গ্যাস পাওয়ায় তা শিল্পপতিদের এই অঞ্চলে কারখানা তৈরিতে উৎসাহ জুগিয়েছিল।'
'হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে প্রথমে কারখানা গড়ে ওঠে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'সময়ের সাথে সাথে কলকারখানা আরও বেড়েছে। বর্তমানে এগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এখন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার দিকেও কারখানা হচ্ছে।'
এই শিল্পবিকাশের পথিকৃৎ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুরে ৩০০ একরেরও বেশি জমিতে শিল্পপার্ক গড়ার উদ্যোগ নিলে এই অঞ্চলে শিল্প-সম্ভাবনার বিষয়টি সামনে চলে আসে। ২০১৩ সালে এখানে পণ্য উৎপাদন শুরু হয়।
প্রাণ-আরএফএল সূত্রে জানা গেছে, শিল্পপার্কটির উন্নয়নে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখানে ২৫ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ হয়েছে। বেশিরভাগই নারী।
প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা আরও বলেন, 'কারখানার জন্য হবিগঞ্জকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে জেলাটির দূরত্ব কম। আমরা সেখানে প্রচুর পণ্য রপ্তানি করি। হবিগঞ্জ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলারও কাছে। এটা আমাদের বাড়তি সুবিধা দিয়েছে।'
তিনি জানান, প্রাণ-আরএফএল'র পর আরএকে পেইন্টস ও স্টার সিরামিকও এই অঞ্চলে কারখানা করে। স্কয়ার গ্রুপ ও যমুনা গ্রুপও এখানে কারখানা করেছে।
তার ভাষ্য, 'এলাকাটি অনুন্নত ছিল। কৃষিকাজও বেশি হতো না। শিক্ষিত ও দক্ষ শ্রমিকের অভাব ছিল। প্রথমদিকে আমাদের অন্য জায়গা থেকে শ্রমিক আনতে হয়েছে।'
'আমরা যখন কারখানা করি তখন এই এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল একটি। পরিবর্তন শুরু হয় ২০১৪ সালের পর। এখন সেবা দেওয়ার জন্য অনেক সরকারি অফিস হয়েছে।'
হালকা যন্ত্রপাতি তৈরিতে হবিগঞ্জের ভালো সম্ভাবনা আছে।
তবে আছে বিপরীত চিত্রও। ইলিয়াছ মৃধার ভাষ্য, 'গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই এলাকার প্রতি শিল্পপতিদের আকর্ষণ কমেছে। পাইপলাইনের গ্যাসের দাম এখন সিএনজির সমান। তাই শিল্পপতিরা এখানে কারখানা করতে এখন তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।'
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করা সায়হাম নিট কম্পোজিট লিমিটেডের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহফুজ মান্নান সুমন মনে করেন, 'এখানে উন্নয়নের আরও সুযোগ আছে।'
তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লার মধ্যে রাস্তার উন্নয়ন হলে হবিগঞ্জ আরও সমৃদ্ধ হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত পণ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে এই রাস্তাটির দুরবস্থা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বাধা।'
ঢাকা-হবিগঞ্জ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
নরসিংদীতে কারখানার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০১৪ সালে এ জেলায় ৬৪৫টি কারখানা ছিল। এখন তা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬৫টিতে।
মাধবপুরের এক কারখানার শ্রমিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে প্রচুর মানুষ আসায় সকালটা জমে উঠে। এখানকার পণ্য অনেক জায়গায় পাঠানো হয় জেনে আমরা গর্বিত।'
মাধবপুরের এক রেস্তোরাঁ মালিক মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারখানার কর্মীদের জন্য রকমারি ও খাবারের দোকান হওয়ায় স্থানীয়দের কাজের সুযোগ বেড়েছে। ফলে এখানকার অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।'
হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামসুল হুদা ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০০৩ সালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক উন্নয়নের ফলে এই অঞ্চলের গুরুত্ব বেড়েছে। এখানে জমি কিনতে শিল্পপতিদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়।'
ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে হবিগঞ্জকে বড় অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যেতে পারে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বাংলাদেশের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ করিডোর। এটি সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পাশাপাশি প্রতিবেশী ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ গড়তে ভূমিকা রাখছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান দুই লেনের রাস্তার কারণে যাত্রী ও পণ্যবাহী বাহন ধীরগতিতে ও অনিরাপদে চলাচল করছে।
প্রতিবেদনটি অনুসারে, সড়কটি নিম্নমানের। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি থাকায় ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ককে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক করিডোর হয়ে উঠতে বাধা দিচ্ছে।
এডিবির সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন চাহিদা মেটাতে সার্ভিস রোডসহ এই মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রায় ২২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটি নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
হবিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাণিজ্য বাড়াতে ভারতের সঙ্গে বাল্লা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এটি চুনারুঘাট ও মাধবপুরের অর্থনৈতিককে চাঙ্গা করবে।
চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাল্লা স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন হবিগঞ্জের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এই বন্দর ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াবে।'
এই অঞ্চলে পর্যটনের সম্ভাবনাও অনেক।
হবিগঞ্জে রেমা-কালেঙ্গা সংরক্ষিত বন ও সাতছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে কারখানা করায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।'
তার মতে, কারখানার দূষণে প্রায় তিন লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রাকৃতিক জলাধার, টিলা, খাল ও জলাভূমিতেও।
'কারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থার অভাব আছে। এই অঞ্চলে শব্দ, বাতাস, পানি ও মাটি দূষণ বাড়ছে।'
ভারত থেকে আসা সুতাং নদী দেশের সবচেয়ে দূষিত নদীর একটি। জলাশয়গুলোও দূষিত হচ্ছে।
তোফাজ্জল সোহেল আরও বলেন, 'এসব খাল-নদী শুধু জলাশয় নয়, এখানকার নানান জলজ প্রাণী সামগ্রিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।'
'দূষণের কারণে হাওর অঞ্চলে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব জলাধারে ফেলা বর্জ্য নদী ও খালের তলদেশে পুরু আলকাতরার মতো স্তর তৈরি করেছে। পানি কালো করে ফেলছে।'
তিনি আরও বলেন, 'অপরিকল্পিত শিল্পায়ন পরিবেশ ধ্বংস করছে। জীববৈচিত্র্য বিপন্ন করছে। জনজীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এখানে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। তবুও দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেই।'
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কলকারখানার সংখ্যা বাড়লে দূষণের মাত্রাও বেড়ে যায়। এটি মোকাবিলার আমরা বর্জ্য নির্গমন নিরীক্ষণের জন্য ডিজিটাল ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি।'
'যেহেতু ধারাবাহিকভাবে সরেজমিনে দেখা সম্ভব না, তাই দেশের ছয় শিল্প প্রতিষ্ঠানে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন ব্যবস্থা প্রতি বিভাগে একটি করে হচ্ছে।'
তিনি জানান, ইতোমধ্যে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) মনিটরিং যন্ত্রপাতির জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। বর্তমানে সেগুলো স্থাপনের কাজ চলছে।
'ইটিপির পর প্যারামিটার বসানো হবে। একবার চালু হয়ে গেলে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে। পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে সারাদেশে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে।'
Comments