‘বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের পর্যাপ্ত টাকা ও মার্কিন ডলার নেই’

বিনিময় হার, করপোরেট দায়, আহসান এইচ মনসুর,
আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আর্থিক সংকট ও পর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থতার কারণে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত টাকা ও মার্কিন ডলার নেই।

তিনি বলেন, 'টাকা ও মার্কিন ডলার সংকটের কারণে সরকার এখন জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন খাতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না। অনেক বিদেশি কোম্পানিও বাংলাদেশ থেকে তাদের অর্থ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারছে না।'

গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে 'বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের খারাপ অবস্থার কারণ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

তার ভাষ্য, তারল্য সংকটের কারণে বাংলাদেশ দিন দিন ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ায় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে দেশের ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে পড়ছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে ভারত ও চীন থেকে ভালো কোনো খবর আসেনি, কারণ তারা বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সাড়া দেয়নি।

অন্যদিকে সরকার পর্যাপ্ত রাজস্ব আদায় করতে পারছে না।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো এখন ঋণের সুদ না পেয়ে আয় হিসাবে স্থানান্তর করে মুনাফা দেখাচ্ছে।

'আমরা বিরিয়ানি কিনতে প্লেট বিক্রি করছি,' বলেন তিনি।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, 'ব্যাংকগুলো এই মুনাফা থেকে লভ্যাংশ বিতরণ করছে, সরকারও কর আদায় করছে।'

তিনি বলেন, 'জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগে বলা হয়েছিল, আর্থিক খাতে ব্যাপক সংস্কার হবে।

কিন্তু ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কিছুই হয়নি। এটা খুবই হতাশাজনক।'

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের স্বার্থে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, 'এটা ভালো যে, আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে এবং এর সঙ্গে কিছু সংস্কার যোগ করেছে। তবে সংস্কারগুলো আমাদের নিজেদের স্বার্থেই বাস্তবায়ন করা উচিত।'

অর্থ পাচার নিয়েও কথা বলেন তিনি। 'দেশ থেকে সম্পদ পাচার অব্যাহত থাকলে বর্তমান সংকটের সমাধান হবে না। সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা,' বলেন তিনি।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Govt short of taka, USD due to financial distress এই লিংকে)

Comments

The Daily Star  | English

Students suffer as NCTB fails to deliver books

Only 37% of 40.15cr textbooks distributed till first half of Jan

13h ago