ইএমটিএস: সারা দেশে কম খরচে টাকা পাঠানোর উপায়

ইএমটিএস
ইএমটিএস টাকা পাঠাতে প্রতি হাজারে পাঁচ টাকা খরচ হয়। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

অনেকেই জেনে অবাক হবেন যে, ব্যাংক ছাড়া দেশের এক জায়গা থেকে অন্য কোথাও টাকা পাঠাতে সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী উপায় পোস্ট অফিস।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (ইএমটিএস) এই সুবিধা দেয়। এটি 'ডিজিটাল মানি অর্ডার' হিসেবে সুপরিচিত।

ইএমটিএস টাকা পাঠাতে প্রতি হাজারে খরচ হয় পাঁচ টাকা। অর্থাৎ, ২৫০ টাকায় পাঠানো যাবে ৫০ হাজার টাকা।

যেকোনো পোস্ট অফিস থেকে টাকা পাঠাতে ও তুলতে প্রক্রিয়াটি সহজ করা হয়েছে।

২০১০ সালের ২৬ মার্চ ডাক অধিদপ্তর সেবাটি উদ্বোধনের মাধ্যমে আর্থিক সেবার আধুনিকায়নে বেশ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে ২০১০ সালের ৫ মে সেবাটি চালু হয়।

এটি সারা দেশে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা।

'সাধারণত আর্থিক অবকাঠামো দুর্বল থাকায় দেশের অনেক জায়গায় ব্যাংক থাকে না। তবে বেশিরভাগ জায়গায় পোস্ট অফিস আছে। গ্রামের মানুষের ভরসা পোস্ট অফিস। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই এই সেবা নিচ্ছে।'

ইএমটিএসকে 'কম খরচে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা' হিসেবে উল্লেখ করে ঢাকার কেন্দ্রীয় সার্কেলের অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল আল মাহবুব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তবে, বিকেল ৫টার পরে টাকা লেনদেন করা যায় না।'

ইএমটিএস আধুনিক প্রযুক্তি হলেও শুক্র ও শনিবার পোস্ট অফিস বন্ধ থাকায় এই ব্যবস্থাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি।

আল মাহবুবের মতে, 'কেউ চাইলে পাঠানো টাকা আটকে রাখতে বা ফেরত আনতে পারেন। এটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে সম্ভব নয়।'

নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা মহানগর সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল ফরিদ আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রেরক ও গ্রহীতার জন্য পিন নম্বর থাকে। টাকা লেনদেন পুরোপুরি নিরাপত্তা। লেনদেন নিশ্চিত করতে রসিদও দেওয়া হয়। অভিযোগ থাকলে তৎক্ষণাৎ সমাধান করা হয়।'

অ্যাপের মাধ্যমে ইএমটিএস সহজলভ্য করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে সারা দেশে দুই হাজার ৭৫২ ডাকঘরে ইএমটিএস সেবা চালু আছে।

সরকারি তথ্য বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইএমটিএসের মাধ্যমে সাত হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

এই সময়ে ডাক অধিদপ্তর আয় করেছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার ও ইএমটিএসের ডেস্ক অফিসার মো. মনিরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাধারণত আর্থিক অবকাঠামো দুর্বল থাকায় দেশের অনেক জায়গায় ব্যাংক থাকে না। তবে বেশিরভাগ জায়গায় পোস্ট অফিস আছে। গ্রামের মানুষের ভরসা পোস্ট অফিস। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই এই সেবা নিচ্ছে।'

ডাক অধিদপ্তরের জন্য বাজেট বাড়ানোর পাশাপাশি আইসিটি অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা হলে ইএমটিএস পরিষেবা আরও কার্যকর হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

7h ago