মার্চে ১৩ লাখ গ্রাহক বেড়েছে ৩ অপারেটরের, কমেছে টেলিটকের
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটক ছাড়া বাকি সবগুলো টেলিকম অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে মার্চে।
বেসরকারি ৩টি মোবাইল অপারেটরের—গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মোট গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ১৩ লাখ। এ নিয়ে দেশে মোট ব্যবহৃত সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৩৮ লাখ। টানা তৃতীয় মাসে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে।
গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহক সংখ্যা ৩৫ লাখেরও বেশি কমেছিল। এই পরিসংখ্যানে আমলে নেওয়া হয়েছে বায়োমেট্রিক যাচাইকৃত গ্রাহক সংখ্যা কিংবা শেষ ৯০ দিনে অন্তত একবার সক্রিয় (ভয়েস, ডেটা, এসএমএস ইত্যাদি) থাকা ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দেশে বর্তমানে সচল ১৮ কোটিরও বেশি সিম ব্যবহার করছেন ১২ কোটি মানুষ। একজন সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রাহক সংখ্যার হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে থাকা মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক মার্চে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ পেয়েছে। এরপর ৪ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক যুক্ত করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রবি আজিয়াটা এবং সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহক যুক্ত করে তৃতীয় গ্রামীণফোন।
গত জানুয়ারিতে ৪ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করে বাংলালিংক। বর্তমানে তাদের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ১৩ লাখ।
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মার্চে বাংলালিংকের গ্রাহক বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা দেশের অপারেটরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলালিংকের কর্মকর্তারা মনে করেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কারণেই তাদের গ্রাহক বাড়ছে। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চলমান বিনিয়োগের কারণে তাদের গ্রাহকরা মানসম্পন্ন ডিজিটাল পরিষেবার ব্যবহারের পাশাপাশি দ্রুততম ফোরজি সেবা পাচ্ছে।
মার্চে নতুন ৪ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর রবির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৫৫ লাখ।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, 'আমাদের অপ্টিমাইজড নেটওয়ার্ক এবং উন্নত পরিষেবার কারণে প্রাথমিক অপারেটর হিসেবে রবির ব্যবহার সম্প্রতি বেড়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি, ওটিটি, গেমিং ও অনলাইন সংবাদের মতো ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের নেটওয়ার্কের ব্যবহার বাড়ছে। আগে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউব ব্যবহারে আমাদের নেটওয়ার্ক বেশি ব্যবহার করতো।'
মার্চে সাড়ে ৩ লাখ নতুন গ্রাহক নিয়ে শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটির বেশি।
গত বছরের জুলাইয়ে সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়েক মাস গ্রাহক কমলেও এই নিয়ে টানা তৃতীয় মাসের মতো গ্রামীণফোনের গ্রাহক বেড়েছে।
ওই বছরের ২৯ জুন টেলিকম নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। 'কল ড্রপ হার কমিয়ে আনাসহ পরিষেবার মান উন্নত করা'র জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গত ২ জানুয়ারি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
৬ মাসের নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটক মার্চে প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে। এ নিয়ে টেলিটকের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৩০ হাজারে।
Comments